ভেনিস বাংলা স্কুলের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট

কাপ হাতে চ্যাম্পিয়ন দলের খেলোয়াড়েরা
কাপ হাতে চ্যাম্পিয়ন দলের খেলোয়াড়েরা

ইতালির ভেনিস বাংলা স্কুলের আয়োজনে ভেনিস বাংলা স্কুল গোল্ড কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট (২০১৬) ফাইনাল খেলা ম্যাসত্রের পারকো পিরাগেত্তোয় অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৮ আগস্ট রোববার ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় চ্যাম্পিয়ন হয় কিংস ১১ মেসত্রে। রানার আপ হয় ইয়ং স্টার ক্রিকেট ক্লাব মোনফালকোনে।

খেলা শেষে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজয়ী ও রানার আপ দলের হাতে কাপ তুলে দেন ভেনিস বাংলা স্কুলের উপদেষ্টা ও কর্মকর্তারা। দুই দলের খেলোয়াড়দের মেডেল পরিয়ে দেন কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তি ও ব্যবসায়ীরা।

বিজয়ী দলের খেলোয়াড়েরা
বিজয়ী দলের খেলোয়াড়েরা

অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন ভেনিস বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ আলী, সহসভাপতি আকতার হোসেন, আওয়ামী লীগের ভেনিস শাখার সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম, ভিসেনসা কমিউনিটির নেতা মফিজুল হক দেওয়ান, ব্যবসায়ী জব্বার মাঝি, নিয়ামুল চৌধুরী, আল মামুন ঢালি, মনোয়ার হোসেন, জিল্লুর রহমান, এম ডি সামসুল, জিকু ভূঁইয়া, প্রবাসী লেখক রেজা রাশিদি, ভেনিস বাংলা স্কুলের উপদেষ্টা আবুল বাশার, বিল্লাল ঢালি, পলাশ রহমান, হান্নান মিয়া, হান্নান ফকির, সাংগঠনিক সম্পাদিকা সোহেলা আক্তার বিপ্লবী, সাবেক সহসভাপতি আইমুন নাহার পলি, কোষাধ্যক্ষ আশিক পলস, সহ সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাইদুল ইসলাম, ক্রীড়া সম্পাদক পান্না বিশ্বাস, প্রচার সম্পাদক তাউহিদুর রহমান, এমদাদুল হক, জাকির হোসেন, প্রবাস বাংলার মেজবা উদ্দিন ও প্রবাসী নির্মাতা কাজী টিপু প্রমুখ।
ভেনিস বাংলা স্কুলের সভাপতি কামরুল সরোয়ান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। পলাশ রহমান ও প্রিয়া উপস্থাপনা করেন।

বক্তব্য দিচ্ছেন একজন অতিথি
বক্তব্য দিচ্ছেন একজন অতিথি

বাংলাদেশ ও ইতালির জাতীয় সংগীত দিয়ে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক পর্বে গান ও নাচ পরিবেশন করেন তাহের, কাউসার ও পাপ্পু। এর আগে খেলা শেষে প্রায় তিন শ অতিথিকে আপ্যায়িত করা হয়। আপ্যায়ন করেন নিয়ামুল চৌধুরী।
উল্লেখ্য, গত ২৮ মে থেকে শুরু হওয়া এ খেলায় ইতালির ভেনেতো অঞ্চলের মোট ১০টি দল অংশগ্রহণ করে। অংশগ্রহণকারী দলের বেশির ভাগ খেলোয়াড় ছিলেন বাংলাদেশি। ফাইনাল খেলায় চ্যাম্পিয়ন দল কিংস ১১ মেসত্রে করে ১১৬ রান। রানার আপ দল ইয়ং স্টার ক্রিকেট ক্লাব মোনফালকোনে করে ৮১ রান। ২৭ রান করে ম্যান অব দা ম্যাচ হন ইয়াসিন। ১২৮ রান করে সর্বোচ্চ রানের পুরস্কার জিতে নেন নাইমুল। ১১৯ রান করে ম্যান অব দ্য সিরিজ হন মুরাদ। খেলায় আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেন আলী আফাই, মণির হোসেন ও ইফতেখার সেতু। বিজয়ী দলের টিম ম্যানেজার ছিলেন মুরাদ ও ক্যাপটেন ছিলেন নুর-ই-আলম। রানার আপ দলেন টিম ম্যানেজার ছিলেন মজনু দেওয়ান ও ক্যাপটেন ছিলেন শাকিব।