অভূতপূর্ব সাড়া মোদির জন ধন হিসাবে

.
.

ভারতে ৫০০ ও ১০০০ রুপির নোট বাতিলের পর প্রধানমন্ত্রীর ‘জন ধন যোজনা’ বা আমানত হিসাবে বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা পড়েছে। ৯ নভেম্বর থেকে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাত্র ৪৫ দিনে ৪১ হাজার ৫২৩ কোটি রুপি জমা হয়েছে। এতে শীর্ষে রয়েছে অর্থাৎ সবচেয়ে বেশি অর্থ জমা হয়েছে উত্তর প্রদেশে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে পশ্চিমবঙ্গ ও রাজস্থান রাজ্য।
সব মিলিয়ে জন ধন আমানত হিসাবে জমা পড়া অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮৭ হাজার ১৬০ কোটি রুপি। এর মধ্যে ৯ নভেম্বরের আগে পর্যন্ত জমা পড়ে ৪৫ হাজার ৬৩৭ কোটি রুপি। অর্থাৎ দুই বছরে মোট জমা হওয়া অর্থের প্রায় অর্ধেকই হয়েছে (৪১ হাজার ৫২৩ কোটি রুপি) শেষ ৪৫ দিনে। সে জন্য ভারতের আয়কর দপ্তর এসব অর্থের উৎস খুঁজতে এবং অন্যের অর্থ জমা দেওয়া হয়েছে কি না তা যাচাই করতে এখন মাঠে নেমেছে। আয়কর বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, কালোটাকা সাদা করতে জন ধন হিসাব ব্যবহার না করার জন্য বলা হয়েছিল। তবু অনেকেই অন্যের হিসাবে তা করে থাকতে পারে। তাই হিসাবে গরমিল দেখা গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাধারণ মানুষজনের ব্যাংকে হিসাব খোলার জন্য ২০১৪ সালের ২৮ আগস্ট চালু করেছিলেন জন ধন যোজনা নামের এই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা হিসাব। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত শ্রেণিসহ সাধারণ মানুষকে ব্যাংক হিসাব খোলার প্রতি আকৃষ্ট করতে এটি চালু করা হয়। এই হিসাব খোলা যায় জিরো ব্যালেন্সে। অর্থাৎ কোনো রকম অর্থ জমা রাখা ছাড়াই খোলা যায় জন ধন আমানতের হিসাব। তবে এই হিসাবে ৫০ হাজার রুপির বেশি জমা দেওয়া যায় না।
বিভিন্ন সূত্রের তথ্য অনুযায়ী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত ৮ নভেম্বর রাতে ৫০০ ও ১০০০ রুপির নোট বাতিল করার পর থেকেই যেন জন ধন হিসাবে অর্থ জমা পড়ার হিড়িক পড়ে। মানুষ দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে এই হিসাবে জমা দেন বাতিল ১০০০ ও ৫০০ রুপির নোট। যদিও অধিকাংশ ক্ষেত্রে অন্যের টাকাই বেশি জমা পড়েছে বলে শোনা যায়। গত ৩০ ডিসেম্বর ছিল বাতিল হওয়া নোট দুটি ব্যাংকে জমা দেওয়ার শেষ দিন।