সরে দাঁড়ালেনডিএসইর প্রধান নির্বাচন কমিশনার

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) নির্বাচন পরিচালনা কমিশন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন মনোনীত প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অবসরপ্রাপ্ত বিচারক আবদুল মতিন।
ওই পদে দায়িত্ব পালনে অপারগতার বিষয়টি তিনি লিখিতভাবে জানিয়েছেন। এখন ওই পদে নতুন আরেকজনকে নিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছে ডিএসই।
জানা গেছে, ১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের সভায় আবদুল মতিনকে প্রধান করে তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। কমিশনের অপর দুই শেয়ারধারী সদস্য হলেন এম কামালউদ্দিন ও মাহবুবুর রহমান।
নিজেদের মধ্যে বৈঠক শেষে এই কমিশনের পক্ষ থেকে নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণের কথা ছিল। কিন্তু প্রধান নির্বাচন কমিশনার সরে দাঁড়ানোর ফলে সেটি সম্ভব হয়নি। এমনকি কমিশনপ্রধানের শূন্যতার কারণে কোনো সভাও অনুষ্ঠিত হয়নি। গত বৃহস্পতিবার কমিশনের প্রথম বৈঠক হওয়ার কথা ছিল।
এ অবস্থায় নির্বাচন-প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে নতুন করে অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ এম শামসুল হককে ওই পদে মনোনয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিএসই। এ জন্য পরিচালনা পর্ষদের সম্মতি নেওয়া হচ্ছে।
জানতে চাইলে ডিএসইর সহসভাপতি মিজানুর রহমান খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রথম দফায় গঠিত কমিশনের প্রধান আবদুল মতিন দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ
করায় নতুন করে শামসুল হককে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। পরে কমিশন নির্বাচনের তারিখ ও অন্যান্য প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে।’
স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনা পৃথক্করণের (ডিমিউচুয়ালাইজড) ফলে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন পর্ষদের মেয়াদ আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে। এরপর ডিমিউচুয়ালাইজড এক্সচেঞ্জের ১৩ সদস্যের পরিপূর্ণ পর্ষদ গঠিত হবে। যেখানে শেয়ারধারীদের মধ্য থেকে সর্বোচ্চ পরিচালক থাকতে পারবেন মাত্র পাঁচজন। পর্ষদের সভাপতিসহ বাকি সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য হবেন স্বতন্ত্র পরিচালক।
শেয়ারধারী পাঁচ পরিচালকের মধ্যে ন্যূনতম একজন হবেন কৌশলগত (স্ট্রাটেজিক) বিনিয়োগকারী। সেই হিসেবে ডিএসইর বিদ্যমান শেয়ারধারী বা সদস্যদের মধ্য থেকে সর্বোচ্চ চারজন পরিচালক হওয়ার সুযোগ পাবেন।