চলমান অস্থিরতায় সুবিধা চান ব্যবসায়ীরা

দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় সব ধরনের শিল্পপ্রতিষ্ঠানের শুল্ক-কর আগামী জুনন পর্যন্ত যৌক্তিক পযার্য়ে কমিয়ে আনা এবং এসব বকেয়ার জন্য ব্যবসায়ীদের যেন হয়রািনও করা না হয়, সরকারের কাছে এবার এমন সুবিধা আনুষ্ঠানিকভাবে দাবি করবেন ব্যবসায়ীরা।
একই সঙ্গে রাজনৈতিক পরিিস্থতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ইউটিলিটি (গ্যাস, পানি, বিদ্যুত্) বিল বকেয়া থাকলে সে জন্য সেসব সেবার সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করার সুবিধাও চান ব্যবসায়ীরা।
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে এফবিসিসিআইয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ দুটিসহ কয়েকটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। মতিঝিলে ফেডারেশন ভবনে গতকাল রোববার এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো স্মারকলিপি আকারে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জরুরিভিত্তিতে উপস্থাপন করবে এফবিসিসিআই। এফবিসিসিআই থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এফবিসিসিআইয়ের পর্ষদ সভায় বলা হয়, রাজনীতিবিদেরা তাঁদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য যেমন সমতার ক্ষেত্র চান, তেমনি ব্যবসায়ীরাও তাঁদের ­­কার্যক্রমের জন্য সুষ্ঠু ব্যবসাবান্ধব পরিবেশের নিশ্চয়তা চান।
এফবিসিসিআই সভাপতি কাজী আকরামউদ্দিন আহ্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পর্ষদ সভায় সংগঠনের দুই সহসভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলী ও হেলাল উদ্দিনসহ পরিচালকেরা উপস্থিত ছিলেন।
পর্ষদ সভায় ব্যাংক ঋণের সুদের স্প্রেড (আমানত ও ঋণদানের সুদের পার্থক্য) ৩ শতাংশে নামিয়ে আনতে সরকারের কাছে দাবি জানানোর সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে কমপক্ষে আগামী দুই বছর শূন্য মার্জিনে এলসি খোলার সুবিধা দেওয়া, সব শিল্প খাতের মেয়াদি ঋণে ১৫ বছর এবং চলতি মূলধিন ঋণে ১০ বছর মেয়াদি পুনঃ তফসিলের সুবিধা দেওয়ার দাবিও জানানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
উল্লেখ্য, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের উদ্যোক্তাদের ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ঋণ পুনঃ তফসিল, এককালীন জমা বা ডাউন পেমেন্ট দেওয়া থেকে সুদ স্থগিত-সব ক্ষেত্রেই নমনীয় হতে পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।