এসকেএফের এজিএমে ফারাজ স্মরণ
গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলায় নিহত ফারাজ আইয়াজ হোসেনের আত্মত্যাগকে স্মরণ করা হলো এসকেএফ বাংলাদেশ লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম)। বিশিষ্টজনেরা বললেন, সাহসী তরুণ ফারাজ আত্মত্যাগের যে দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন, সেই মূল্যবোধ সবাইকে অনুসরণ করতে হবে।
আজ সোমবার বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয় এসকেএফের এজিএম। সভার শুরুতে ফারাজ আইয়াজ হোসেন স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন আগত ব্যক্তিরা। পরে ফারাজকে নিয়ে একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
সভায় ট্রান্সকম গ্রুপ ও এসকেএফ বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমান, প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সিমিন হোসেন, ফারাজের বড় ভাই যারেফ আয়াত হোসেন, প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আনিসুল হক ও এসকেএফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় লতিফুর রহমান বলেন, ‘ফারাজ আমাদের গর্ব, আমরা তাঁর মূল্যবোধ ও মানবিকতাকে অনুসরণ করতে পারি।
এ সময় নৈতিকতার সঙ্গে কাজ করার জন্য এসকেএফ কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান লতিফুর রহমান। তিনি বলেন, লাভক্ষতি যা-ই হোক না কেন, কখনো পণ্যের মান নিয়ে সমঝোতা করা উচিত নয়।
গত ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গিদের হামলায় নিহত হন ফারাজ। নিজের জীবন বাঁচানোর সুযোগ থাকা সত্ত্বেও বন্ধুদের ছেড়ে যেতে রাজি হননি তিনি। পরে জঙ্গিরা তাঁকে হত্যা করে।
সভায় সিমিন হোসেন বলেন, ‘ফারাজের ঘটনাটি মা হিসেবে আমার জন্য সবচেয়ে বড় ক্ষতি। তবে আমি এ থেকে অনুপ্রেরণাও পাই।’ তিনি এসকেএফ কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, লক্ষ্য নির্ধারণ করে সে অনুযায়ী সবাইকে কাজ করতে হবে।
আনিসুল হক তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘আত্মত্যাগের শিক্ষা ফারাজ তাঁর মায়ের কাছ থেকে পেয়েছেন। আমরা গর্বিত যে বাংলাদেশে ফারাজের মায়ের মতো মা আছেন।’