এলডিসি থেকে উত্তরণে বাংলাদেশের নাম প্রস্তাব হবে ২০১৮ সালে

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের কৌশল’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় সরকারি কর্মকর্তারা l ছবি: সিপিডির সৌজন্যে
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের কৌশল’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় সরকারি কর্মকর্তারা l ছবি: সিপিডির সৌজন্যে

আগামী ২০১৮ সালে স্বল্পোন্নত দেশ বা এলডিসি শ্রেণি থেকে উত্তরণের জন্য বাংলাদেশের নাম প্রস্তাব হওয়ার বিষয়টি প্রায় নিশ্চিতই বলা যায়। সে হিসেবে বাংলাদেশ ২০২৪ সালে এ তালিকা থেকে বেরিয়ে আসবে। ফলে বিষয়টি বর্তমানে সরকারের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ অ্যাজেন্ডা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। উত্তরণের এ প্রক্রিয়াকে মসৃণ ও টেকসই করার কৌশল নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলছে।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলা হয়েছে। আলোচনার শিরোনাম ছিল ‘বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের কৌশল’। গত রোববার অনুষ্ঠিত এ সভায় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংস্থা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের ২৭ জন জ্যেষ্ঠ ও মধ্যম পর্যায়ের কর্মকর্তা অংশ নেন।
সিপিডির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, ‘স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণ: বাংলাদেশ কি মসৃণ উত্তরণ-প্রক্রিয়ার জন্য প্রস্তুত?’ শীর্ষক উপস্থাপনার মধ্য দিয়ে আলোচনার সূত্রপাত হয়। এরপর দলগত আলোচনার মাধ্যমে অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তারা বাংলাদেশের উত্তরণ-প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেন। মূলত উত্তরণ-প্রক্রিয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাঠামোগত রূপান্তর, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট বা এসডিজির সঙ্গে উত্তরণ-প্রক্রিয়ার সম্পর্ক, বিভিন্ন বাহ্যিক বৈরী চ্যালেঞ্জ, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং উত্তরণের ক্ষেত্রে সুবিধা ও অসুবিধাগুলো নিয়েই আলোচনা হয়।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, সম্মানীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, সংলাপ ও যোগাযোগ পরিচালক আনিসাতুল ফাতেমা ইউসুফ, গবেষণা পরিচালক ফাহমিদা খাতুন, অতিরিক্ত গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এবং গবেষণা ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।