বেনাপোলে সাত হাজার ট্রাক দাঁড়িয়ে

 ৩৩ হাজার মেট্রিক টন ধারণক্ষমতার যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরে এক লাখ মেট্রিক টন পণ্য রাখা হচ্ছে। বেনাপোল গুদাম ও আঙিনায় জায়গার সংকটে আমদানি করা পণ্যবোঝাই ছয় থেকে সাত হাজার ট্রাক ভারতের পেট্রাপোল অংশে রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। যার মাশুল গুনতে হচ্ছে বাংলাদেশি আমদানিকারকদের।

বন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন না হওয়ার বিষয়ে গতকাল বুধবার দুপুরে বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ (ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং) এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলা হয়েছে। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি মফিজুর রহমান, মতিয়ার রহমান প্রমুখ।

লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক বলেন, বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিবছর ২০ হাজার কোটি টাকার পণ্য আমদানি-রপ্তানি করা হয়। সেখান থেকে সরকার বছরে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৭ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় করে। অথচ বন্দরের উন্নয়নে গত ৩০ বছরে পরিকল্পনা অনুযায়ী বড় ধরনের কোনো প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়নি। ধারণক্ষমতার তিন গুণ বেশি পণ্য এখন বন্দরের গুদাম ও আঙিনায় রাখা হচ্ছে। বেনাপোল লিংক সড়কসংলগ্ন ৫০ একর জমি অধিগ্রহণ করে নতুন করে আরও অন্তত ২০টি আধুনিক শেড ও ইয়ার্ড (গুদাম ও আঙিনা) নির্মাণ করা হলে এ সমস্যার সমাধান হবে। জায়গা সংকটের কারণে পশ্চিমবঙ্গের বনগা, কালিতলা, চাকলা ও পেট্রাপোল এলাকায় ছয় থেকে সাত হাজার ট্রাক আমদানি পণ্য নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে।

সম্মেলনে বন্দর নিয়ে আরও সাতটি সমস্যা ও সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে আমদানি করা নতুন বাস ও প্রাইভেট কার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নতুন টার্মিনাল নির্মাণ, বন্দরে পর্যাপ্ত ক্রেন ও ফর্কলিফট না থাকায় পণ্য ওঠানো-নামানো সম্ভব হচ্ছে না, ১০টি করে মোট ২০টি ক্রেন ও ফর্কলিফট সরবরাহ, বন্দরকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা, স্থায়ী ট্রাফিক পুলিশ ইউনিট এবং পণ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বিএসটিআইয়ের কার্যালয় স্থাপন।

বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আবদুল জলিল বলেন, বন্দরের মোট শেড ও ইয়ার্ড রয়েছে ৪০টি। এর মধ্যে আটটি শেডে সংস্কারকাজ চলছে। যে কারণে ৩০ শতাংশ জায়গা ব্যবহার করা যাচ্ছে না। এতেই সংকট দেখা দিয়েছে। ওই শেডগুলোর সংস্কারকাজ শেষ হলে জায়গার সংকট আর থাকবে না।