সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকার ৮ প্রকল্প

স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে সরকার। এ জন্য সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে উন্নয়নকাজে থোক বরাদ্দসহ সদস্যদের দক্ষতা বৃদ্ধি করা হবে।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্ট-৩ (এলজিএসপি-৩) পাস হয়। শেরেবাংলা নগরের পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।
স্থানীয় সরকার বিভাগ আগামী ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। দেশের ৪ হাজার ৫৫০টি ইউনিয়ন এই প্রকল্পের আওতায় থাকবে। ৫ হাজার ৫৩৫ কোটি টাকার মধ্যে প্রতিটি ইউনিয়নকে থোক বরাদ্দ হিসেবে ৪ হাজার ২৮৭ কোটি টাকার বেশি দেওয়া হবে। উন্নয়নকাজেই এ অর্থ ব্যয় করা হবে। আর বাকি ৮৮৬ কোটি দক্ষতা বৃদ্ধিতে খরচ করা হবে। এর আগে দুই দফায় এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে।
একনেক সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের জানান, দেশের সড়ক অবকাঠামো নিয়ে একটি মহাপরিকল্পনা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কত সড়ক হয়েছে; আরও কত সড়ক লাগবে—এর পরিকল্পনা করা হবে।
এই প্রকল্পসহ গতকাল একনেক সভায় ১২ হাজার ৫৫০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার আটটি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯ হাজার ১৯২ কোটি ৩৯ লাখ টাকা দেওয়া হবে স্থানীয় উৎস থেকে। বিদেশি সহায়তা হিসেবে ২ হাজার ৪৮৫ কোটি টাকা পাওয়া যাবে। আর প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলো দেবে ৮৭৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।
একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পগুলো ৪১৯ কোটি টাকার জলবায়ু সহনশীল গ্রামীণ অবকাঠামো প্রকল্প; ২ হাজার ৬৩৬ কোটি টাকার খুলনা বিভাগ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন; ৪২১ কোটি টাকার মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি), মিরপুর সেনানিবাসের অবকাঠামোগত সুবিধা সম্প্রসারণ; ২ হাজার ৮৩৩ কোটি টাকার অনন্যা আবাসিক এলাকার উন্নয়ন (২য় পর্যায়); ১৪০ কোটি টাকার নাটোর রোড (রুয়েট) থেকে রাজশাহী বাইপাস পর্যন্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণ (১ম সংশোধিত); ২৩২ কোটি টাকার বরিশাল ও সিলেট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) এবং রেঞ্জ রিজার্ভ (আরআরএফ) পুলিশ লাইন নির্মাণ এবং ৩৩৬ কোটি টাকার পটুয়াখালী-পায়রা ২৩০ কেভি সঞ্চালন লাইন নির্মাণ প্রকল্প।