প্রগতি সংযোজন করবে পাজেরো স্পোর্টস গাড়ি

সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড এলাকায় অবস্থিত প্রগতির কারখানায় নতুন গাড়ি সংযোজন করছেন কর্মীরা l ছবিটি প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজের সৌজনে্য
সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড এলাকায় অবস্থিত প্রগতির কারখানায় নতুন গাড়ি সংযোজন করছেন কর্মীরা l ছবিটি প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজের সৌজনে্য

মিতসুবিশি ব্র্যান্ডের পাজেরো স্পোর্টস মডেলের নতুন সংস্করণের গাড়ি সংযোজনের অনুমতি পেল প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। জাপানের মিতসুবিশি মোটরস করপোরেশনের নিজস্ব কারখানার বাইরে প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের একমাত্র গাড়ি সংযোজনকারী কারখানা প্রগতিকে এই অনুমতি দেওয়া হয়।
প্রগতি সূত্র জানায়, প্রায় সাত মাস ধরে তিন ধাপে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নতুন সংস্করণের গাড়ি সংযোজনে সফলতা পায় প্রগতি। এই সময়ে পরীক্ষামূলকভাবে ২১টি গাড়ি সংযোজন করা হয়। মিতসুবিশির কারিগরি দলের ১৩ জন প্রকৌশলী এই সংযোজন প্রক্রিয়ায় অংশ নেন।
প্রগতি সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ডে প্রগতির কারখানায় এক সভায় প্রগতিকে নতুন সংস্করণের গাড়ি সংযোজনের অনুমতি দেওয়ার কথা জানায় মিতসুবিশি মোটরস করপোরেশনের নিরীক্ষা বিভাগের প্রতিনিধি উতসুকি সান। আনুষ্ঠানিকভাবে শিগগিরই তা জানানো হবে বলে তিনি প্রগতিকে জানিয়ে দেন।
প্রগতির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবুল খায়ের গতকাল শনিবার প্রথম আলোকে বলেন, ফিলিপাইন ও ইন্দোনেশিয়া নতুন সংস্করণের এই গাড়ি সংযোজনে প্রথম ধাপে ব্যর্থ হয়েছে। সে দিক থেকে প্রগতি সফল। এখন শিগগিরই বাণিজ্যিকভাবে এই সংস্করণের গাড়ি সংযোজন শুরু হবে।
নতুন সংস্করণের গাড়ি সম্পর্কে জানতে চাইলে আবুল খায়ের বলেন, নতুন সংস্করণের পাজেরো স্পোর্টস মডেলের গাড়ির অবয়বে আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে। অটো ট্রান্সমিশনের ব্যবস্থাসহ গাড়ির কাঠামোতেও পরিবর্তনের ছোঁয়া রয়েছে। নতুন গাড়ির দাম রাখা হবে ৮০ লাখ টাকা।
প্রগতির কর্মকর্তারা জানান, এর আগে মিৎসুবিশি ব্র্যান্ডের পাজেরো স্পোর্টস মডেলের সিআর-৪৫ সংস্করণের গাড়ি সংযোজন করত প্রগতি। এই সংস্করণের গাড়ি বিক্রি করা হয় ৬৯ লাখ ৫০ হাজার টাকায়। গত আগস্ট থেকে এই সংস্করণের গাড়ি উৎপাদন বন্ধ করে দেয় মিতসুবিশি। তারা পাজেরো স্পোর্টস মডেলের কিউএক্স সংস্করণের গাড়ি আনার প্রকল্প হাতে নেয়।
জানা গেছে, প্রগতি বর্তমানে মিতসুবিশি পাজেরো স্পোর্টস মডেলের সিআর-৪৫, মাহিন্দ্র স্করপিও ও ল্যান্ডফোর্ড মডেলের গাড়ি সংযোজন করছে। প্রগতির গাড়ির বড় গ্রাহক সাধারণত সরকারি সংস্থাগুলো।
প্রসঙ্গত, সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড এলাকায় ১৯৬৬ সালে প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (আগের নাম গান্ধারা ইন্ডাস্ট্রিজ) স্থাপনে কারিগরি সহায়তা দিয়েছিল ইংল্যান্ডের জেনারেল মোটরস (জিএম) ওভারসিজ ডিস্ট্রিবিউটর করপোরেশন। পরে প্রগতি জাপানের মিতসুবিশি মোটরস করপোরেশনের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি করে তাদের উৎপাদিত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গাড়ি এ দেশে এনে সংযোজন ও বাজারজাত শুরু করে।