'ঝামেলা' ছাড়াই এনআরবিসি ব্যাংকের এজিএম

আদালতের নির্দেশনা মেনে এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের চতুর্থ বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার ঢাকার ফারস হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ফরাছত আলী। সভায় ৪০ জন উদ্যোক্তা ও পরিচালক অংশ নেন।

ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) দেওয়ান মুজিবর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘কোনো ধরনের ঝামেলা হয়নি। শান্তিপূর্ণভাবে এজিএম অনুষ্ঠিত হয়েছে।’

সভায় উপস্থিত একাধিক উদ্যোক্তা জানান, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যাংকের পরিচালক এস এম তমাল পারভেজ, রফিকুল ইসলাম আরজু ও মো. আদনান ইমাম এবং সাবেক পরিচালক তুষার ইকবাল রহমানকে এজিএমে অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে বাধ্য হয় ব্যাংকটির পর্ষদ। অনেক দিন ধরে তারা ব্যাংকটির পর্ষদ সভায় অংশ নিতে পারেননি। সভায় ৫৩ জন উদ্যোক্তার মধ্যে ৪০ জন অংশ নেন।

সভায় একাধিক উদ্যোক্তা ব্যাংকটির এমডিকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি তোলেন। এজিএমে নতুন তিনজন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগের প্রস্তাব উঠলেও তা অনুমোদন হয়নি। ব্যাংকটিতে নানা অনিয়মের কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিযুক্ত পর্যবেক্ষক মাসুদ বিশ্বাসও সভায় উপস্থিত ছিলেন।

একাধিক উদ্যোক্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এজিএমে উপস্থিত একাধিক পরিচালক বিদেশ থেকে এসেছেন। এ কারণে এজিএমের পরে তাঁরা পরিচালনা পর্ষদের সভার দাবি জানান। চেয়ারম্যান তাতে রাজি না হয়ে এমডি ও কোম্পানি সচিবকে নিয়ে দ্রুত সভাস্থল ত্যাগ করেন। আজ সোমবার বা চলতি সপ্তাহেই পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হতে পারে।

 গত বৃহস্পতিবার বিচারপতি এ এফ এম আবদুর রহমানের অবকাশকালীন হাইকোর্টের একক বেঞ্চ এক আবেদনের শুনানি নিয়ে আদেশ দেন, এনআরবিসি ব্যাংকের এজিএম হতে বাধা নেই। যেসব স্থানে তিন পরিচালকের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে, তা পুনঃস্থাপন করতে হবে। পুরো এজিএমের কার্যবিবরণী ভিডিও ধারণ করতে ব্যাংকের সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

এর আগে আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষায় ব্যর্থতার দায়ে গত ২০ মার্চ ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ফরাছত আলী ও এমডি দেওয়ান মুজিবর রহমানকে শোকজ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফরাছত আলীর বিরুদ্ধে কেন আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে না এবং দেওয়ান মুজিবর রহমানকে কেন অপসারণ করা হবে না—নোটিশে তা জানতে চাওয়া হয়েছে।