নজিরবিহীন 'হুমকি, পাল্টা হুমকি'

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত

মূল্য সংযোজন কর (মূসক) নিয়ে দাবি মানা না হলে আন্দোলনে যাবেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা আন্দোলনে গেলে তা দমন করা হবে বলে জানান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এভাবেই হুমকি ও পাল্টা হুমকি দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে আগামী বাজেট নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের যৌথ পরামর্শক সভায়।

সভায় ব্যবসায়ী ঐক্য ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আবু মোতালেব বলেন, মূসক নিয়ে এই পর্যন্ত এনবিআর ও এফবিসিসিআইয়ের মধ্যে ১৮টি সভা হয়েছে। কিন্তু ফলাফল শূন্য। দাবি না মানলে ছাত্রদের মতো ব্যবসায়ীদের আবার রাজপথে নামতে হবে। এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রী আন্দোলন দমনের পাল্টা হুমকি দেন।

গতকাল রোববার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সকালে এনবিআর ও এফবিসিসিআইয়ের যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এটিই বাজেট প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করার সবচেয়ে বড় আনুষ্ঠানিক সভা।

অর্থমন্ত্রীর এই পাল্টা হুমকির সঙ্গে সঙ্গে ওই হলরুমে উপস্থিত ব্যবসায়ীদের অনেকেই দাঁড়িয়ে চিৎকার করে এর প্রতিবাদ করেন। অনেকে ‘এনবিআর সরকারকে ভুল বোঝাচ্ছে’ এবং ‘আন্দোলন দমনের হুমকি দেবেন না’—এসব বলে ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন। তখন পুরো অনুষ্ঠানস্থলে হট্টগোলময় পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এনবিআর চেয়ারম্যান সবাইকে শান্ত হওয়ার বারবার অনুরোধ করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনের অনুরোধে ব্যবসায়ীরা শান্ত হন। পরে সভার নিয়মিত কার্যক্রম চললেও এ ঘটনার রেশ রয়ে যায়। অনুষ্ঠানের মাঝখানেই অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বক্তব্য দিয়ে চলে গেলে অনেক ব্যবসায়ীও চলে যান। বাকি সময় অনেক চেয়ার ফাঁকা পড়ে থাকে। এ নিয়ে ব্যবসায়ী মহলে সারা দিনই ছিল নানা আলোচনা। পরামর্শক কমিটির সভায় এর আগে কখনো এ ধরনের ঘটনা আর ঘটেনি।

মূসক আইন নিয়ে ব্যবসায়ী ও সরকারের মধ্যে দুই বছর ধরেই মতবিরোধ চলছে। আগামী ১ জুলাই থেকে এই আইনটি বাস্তবায়নের ঘোষণা রয়েছে। নতুন আইনে আমদানি কিংবা উৎপাদন, সরবরাহ ও বিক্রি পর্যায়ে অভিন্ন ১৫ শতাংশ হারে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) দিতে হবে। ব্যবসায়ীরা চান এই হার কমিয়ে ৭ থেকে ১০ শতাংশের মধ্যে রাখা। এ ছাড়া বিদ্যমান প্যাকেজ মূসক ব্যবস্থা বাতিল, টার্নওভার কর সীমা বৃদ্ধি, মূসক নিবন্ধন পদ্ধতি—মূলত এসব নিয়েও মতবিরোধ আছে। আর এসব দাবিদাওয়া নিয়ে গত দেড় মাসে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দুই দফা বৈঠক করেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু নতুন কোনো সিদ্ধান্ত তাতেও হয়নি।

গতকাল রোববার সকালে যৌথ সভাটি ভালোভাবেই শুরু হয়। সভার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বাজেটের দাবিদাওয়া নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মুক্ত আলোচনা পর্বেই বিপত্তি বাধে। ব্যবসায়ী ঐক্য ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আবু মোতালেবের বক্তব্যের মাধ্যমেই ঘটনার সূত্রপাত হয়।

আবু মোতালেব তাঁর বক্তব্যের একপর্যায়ে বলেন, ‘আমরা এখানে এসেছি, চা খেয়ে চলে যাব। বাজেটের দিন হতাশ হব। মূসক নিয়ে এই পর্যন্ত এনবিআর ও এফবিসিসিআইয়ের মধ্যে ১৮টি সভা হয়েছে। কিন্তু ফলাফল শূন্য। এর আগে প্যাকেজ মূসক নিয়ে রাজপথে নামতে হয়েছে, তখন আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে।’ বক্তব্যের এই পর্যায়ে এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান মূল প্রস্তাব দেওয়ার অনুরোধ করেন। তখন আবু মোতালেব বলেন, ‘আপনাকে শুনতে হবে। আপনি বাজেট বাস্তবায়ন করবেন, আমরা সেই বাজেট (রাজস্ব) দিতে পারব না। তখন ছাত্রদের মতো আবার রাজপথে নামতে হবে।’

আবু মোতালেব আরও বলেন, ‘মূসক আইন বিষয়ে ব্যবসায়ীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) তহবিল এসেছে। এ দেশে ৬৬টি চেম্বার ও ৩৭৭টি ব্যবসায়ী সমিতি আছে। আমরা জানতে চাই, ওই টাকা দিয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে কি না। এফবিসিসিআইয়ের সাত-আটজন নিয়ে লোক দেখানো তিন দিনের কর্মশালা করা হয়েছে। আমাদের প্রশিক্ষণ না দিলে কীভাবে মূসক আইন বাস্তবায়ন করবেন? চকবাজারের ব্যবসায়ীরা কীভাবে বুঝবেন ইসিআর মেশিন কী। ব্যবসায়ীদের দাবি না মানলে ব্যবসায়ীরা আবার ছাত্রদের মতো রাস্তায় নামবেন। এই আইন বাস্তবায়ন আবার মুখ থুবড়ে পড়বে।’ এ সময় উপস্থিত ব্যবসায়ীরা হাততালি দিয়ে ওঠেন।

আবু মোতালেব আরও বলতে চাইলে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত তাঁকে থামিয়ে দিয়ে কিছুটা রেগে গিয়ে বলেন, ‘অনেক বলেছেন। আট লাখ প্রতিষ্ঠানের মূসক নিবন্ধন আছে, মাত্র ৩২ হাজার প্রতিষ্ঠান মূসক দেয়। এর মধ্যে আপনার এসএমই খাতের কতজন মূসক দেন? কতজন দেন?’ তিনি আরও রেগে গিয়ে বলেন, ‘আন্দোলন করেন, কিচ্ছু হবে না। যদি আপনারা আন্দোলন করেন, আমরা আন্দোলন দমন করব।’

এ সময় অন্য ব্যবসায়ীরা অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদ করে হইচই শুরু করে দেন। অনেকে ‘আন্দোলন দমনের হুমকি দেবেন না’—এমন কথাও উচ্চকণ্ঠে বলতে থাকেন। আবার ‘এনবিআর সরকারকে ভুল বোঝাচ্ছে’—এমন কথাও শোনা যায়। পুরো হলরুমে হট্টগোল শুরু হয়। এ সময় এনবিআর চেয়ারম্যান সবাইকে শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য বারবার অনুরোধ করতে থাকেন। প্রায় দু-তিন মিনিট এমন হইচই চলে। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি সফিউল ইসলাম মাইকের ফ্লোর নেন। তিনি তাঁদের শান্ত হতে অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, ‘সরকার কোনো কিছু চাপিয়ে দেবে না। এটা জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার। আশা করি ব্যবসায়ীদের ন্যায্য দাবি মেনে নেবেন। আপনারা ধৈর্য ধরেন। এখনো আমরা বাজেট দেখিনি। জানি না বাজেটে কী আছে।’

পরে এনবিআর চেয়ারম্যান ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেন, ‘এ ধরনের পরামর্শক সভায় আন্দোলনের হুমকি দেবেন না। এ ধরনের ফোরামের একটি আলাদা ভাষা আছে।’

এরপর পরিস্থিতি শান্ত হলে নিয়মিত মুক্ত আলোচনাপর্ব আবার শুরু হয়। তবে আগের সেই রেশ আর থাকেনি।

জরুরি বৈঠক থাকায় মুক্ত আলোচনাপর্বের মাঝেই বক্তব্য দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অর্থমন্ত্রী। তখন অর্থমন্ত্রী এ বিষয়ে বলেন, ‘আবু মোতালেব সাহেব যে হুমকি দিয়েছেন, তা আমার একেবারেই পছন্দ হয়নি। এভাবে যুদ্ধের হুমকি দেওয়া অন্যায়। ওনার উচিত বক্তব্য প্রত্যাহার করা।’ এ সময় আবু মোতালেব অর্থমন্ত্রীর স্বল্প দূরত্বেই একটি চেয়ারে বসে ছিলেন।

অর্থমন্ত্রী অনুষ্ঠান থেকে চলে যাওয়ার পরই অনেক ব্যবসায়ী নেতাও চলে যান। ব্যবসায়ীদের জন্য ঠিক করা টেবিলের বাঁ অংশের অনেক চেয়ার খালি হয়ে যায়।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘সব ধরনের উসকানি-বিশৃঙ্খলার মধ্যে স্থির আছি। আমি যদি চেয়ারম্যান থাকি, ভবিষ্যতে এই ধরনের সভায় কীভাবে কথা বলতে হয়, সেই বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করব। সম্মানিত লোক নিয়ে আসব, আবার তাঁদের অসম্মান করব, এটা ঠিক নয়। দেশের জন্য যুক্তি দিয়ে কথা বলেন আমরা শুনব। কে কী করেন, এর সব তথ্যের নথি আমার কাছে আছে।’

এ সময় এনবিআর চেয়ারম্যান ব্যবসায়ী নেতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের মধ্যে যাঁরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন, তাঁদের ওয়াজ-নসিহত করেন। উত্তপ্ত লোহাকে কীভাবে শীতল করতে হয়, সেই প্রশিক্ষণ আমার আছে। সম্মানী মানুষকে প্রথমে সম্মান দিতে হয়। দাবির বিষয়টি তাঁকে বোঝাতে পারলে ইতিবাচক হন তিনি।’ এনবিআর চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘মেঘ চেয়েছেন, তিনি (অর্থমন্ত্রী) বৃষ্টি দিতে চেয়েছেন, তিনি সেই মুডে ছিলেন।’ বাজেটের সব কথা খোলামেলা বলা যায় না বলে তিনি মন্তব্য করেন।

ব্যবসায়ীদের আসন খালি হওয়া প্রসঙ্গে নজিবুর রহমান বলেন, ‘আমার বাম পাশের আসন খালি হয়ে গেছে। আর ডানে সরকারি বড় কর্মকর্তারা এখনো আছেন। এটাই বাজেট নিয়ে আমাদের সম্পৃক্ততা।’ ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা যেসব দাবি করেছেন, তা আমার সহকর্মীরা লিখে রেখেছেন। আর ব্যবসায়ীদের শারীরিক ভঙ্গি ক্যামেরায় ধারণ করা আছে। এসব বিশ্লেষণ করা হবে। আমরা সম্মানের জন্য চাকরি করি। আমাদের অসম্মান না করলেই বাধিত হব।’

অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্য দেন এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি সফিউল ইসলাম। তিনি বলেন, একে অন্যকে প্রতিপক্ষ ভাবলে এগোনো যাবে না। ব্যবসায়ীদের দাবিও বিবেচনা করতে হবে। তাঁর মতে, এনবিআরে শীর্ষ কর্তারা সাময়িকভাবে ক্ষমতা (টেম্পোরারিলি পাওয়ার) নিয়ে আসেন।

বক্তব্যের এ পর্যায়ে এনবিআর চেয়ারম্যান ‘পাওয়ার’ শব্দটি শুধরে দিয়ে বলেন, এটি হবে দায়িত্ব (রেসপনসিবিলিটি)।

এরপর সফিউল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে ফিরে যান। বলেন, ‘মিষ্টির দোকানের মূসক ফাঁকি নিয়ে অনুষ্ঠানে যে ভিডিও চিত্রটি দেখানো হলো তাতে মনে হবে, সব মিষ্টি বিক্রেতাই এমনভাবে মূসক ফাঁকি দেন। এটাও কিন্তু উসকানিমূলক। এই ভিডিও চিত্রে উসকানি থাকা অত্যন্ত অনভিপ্রেত।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন এফবিসিসিআই সভাপতি মোহাম্মদ আবদুল মাতলুব আহমাদসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা।

বাজেট নিয়ে পরামর্শক সভায় এ ধরনের ঘটনা নিয়ে জানতে চাইলে এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মজিদ প্রথম আলোকে বলেন, অতীতে পরামর্শক সভাগুলো অত্যন্ত গঠনমূলক হয়েছে। এ ধরনের সভার পরিবেশ সুন্দর থাকা উচিত। ব্যবসায়ীরা দাবি করবেন, যুক্তি দেবেন আবার এনবিআরও পাল্টা যুক্তি দেবে, পুরো আলোচনাটি অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে হতে হবে। তর্ক-বিতর্ক হলেও তা যেন গঠনমূলক হয়। তবে আজকের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ধরনের ঘটনা ঘটলে আলোচনার অনুকূল পরিবেশ থাকে না।

কেন এমন হলো

মূসক আইন নিয়ে মূল মতবিরোধটি হলো সব ক্ষেত্রেই ১৫ শতাংশ হারে মূসক দিতে হবে। প্যাকেজ মূসক, নির্ধারিত মূল্যে কিংবা সংকুচিত ভিত্তিমূল্যে (১৫ শতাংশের পরিবর্তে রেয়াতি হারে) মূসক ব্যবস্থা উঠে যাবে, যা ব্যবসায়ীরা মানতে রাজি নন। ব্যবসায়ীদের দাবি হলো মূসক হার সাড়ে ৭ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশের মধ্যে রাখা। এসব সমস্যা সমাধানে এনবিআর ও এফবিসিসিআই যৌথ কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটির সুপারিশ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

এমন অবস্থায় গত ২৩ মার্চ ও ১৭ এপ্রিল শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদসহ এনবিআরের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের দুটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই দুই সভায় দুই পক্ষই নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকায় কোনো সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব হয়নি।

নতুন আইনে মৌলিক খাদ্য, নির্ধারিত জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, গণপরিবহন সেবা, গণস্বাস্থ্য ও চিকিৎসাসেবা, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ, কৃষি, মাছ চাষ, দাতব্য প্রতিষ্ঠানের অবাণিজ্যিক কার্যক্রম, অলাভজনক সাংস্কৃতিক সেবা—এসব ক্ষেত্রে মূসক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বাকি সব ক্ষেত্রেই আমদানি, উৎপাদন কিংবা বিক্রি পর্যায়ে অভিন্ন ১৫ শতাংশ হারে মূসক বসবে।

নতুন মূসক আইন হলে ট্যারিফ লাইনের ৭৪ দশমিক ৪ শতাংশ পণ্যের ওপর মূসক আরোপ হবে। বর্তমানে ট্যারিফ লাইনে ৬ হাজার ৪৭৩ ধরনের পণ্য আছে। সেই হিসাবে ৪ হাজার ৮১৬ ধরনের পণ্যের ওপর ১৫ শতাংশ হারে মূসক বসবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘নতুন আইনে অভিন্ন হারে মূসক দিতে হবে, যা ব্যবসায়ীরা দিতে চান না। আমার মতে, ১৫ শতাংশ হার বেশি। আশপাশের কোনো দেশে নেই। এ ছাড়া নতুন আইনে মূসক দিতে হলে ব্যবসায়ীদের হিসাব রাখতে হবে। তাই আইনটি বাস্তবায়ন করা জটিল হবে। সরকারও এর অবস্থানে অনড় আছে। এই সাংঘর্ষিক অবস্থা নিরসনে মূসক হার ১০ শতাংশ করা উচিত।’