লম্বা বেগুন ছাড়া অন্যান্য সবজির দাম কিছু কমেছে

পবিত্র রমজান মাস শুরুর ঠিক আগে রাজধানীর কাঁচাবাজারে হঠাৎ দামে লাফ দেওয়া লম্বা বেগুনের দাম এখনো চড়া। তবে ওই সময় অন্য যেসব সবজির দাম বেড়েছিল, সেগুলোর দাম কিছুটা কমেছে। সরবরাহ ঠিক থাকা ও চাহিদা কম থাকা এর কারণ বলে জানিয়েছেন বিক্রেতা ও ক্রেতারা।

গতকাল রোববার সকালে রাজধানীর কাঁঠালবাগান বাজার, হাতিরপুল বাজার ও কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন সবজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে। রমজান মাস শুরুর আগে এগুলোর প্রতি কেজির দাম ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা। তবে প্রতি কেজি লম্বা বেগুন এখনো ৬০ থেকে ৭০ টাকা। নতুন করে বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম—বাজার ও মানভেদে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত।

কাঁঠালবাগানের সবজি বিক্রেতা মো. হানিফ বলেন, লম্বা বেগুন ছাড়া অন্যান্য সবজির দাম কিছুটা কমেছে। কয় দিন আগেও যেসব সবজির কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা ছিল, তা এখন ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। তাঁর দোকানে ঢ্যাঁড়স, পটোল, টমেটো, বরবটি, কাঁচা পেঁপে ৩০ টাকা কেজি। করলা, কাঁকরোল, শসা ৩৫ টাকা কেজি। তবে লম্বা বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা দরে।

কাঁঠালবাগান বাজার থেকে কিছু দূরের হাতিরপুল বাজারেও লম্বা বেগুন ও অন্যান্য সবজির দাম একই রকম। হাতিরপুল বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. হাবিব বলেন, বিভিন্ন জেলা থেকে নিয়মিত সবজি আসছে বলে সরবরাহ ভালো, তাই দাম কিছু কম। এ ছাড়া রমজান মাসে মানুষ সবজি কম খায়।

হাতিরপুল বাজারে সবজি কিনছিলেন ভূতের গলির বাসিন্দা আফজাল হোসেন। তিনি পরিমাণে অল্প ঢ্যাঁড়স, বরবটি ও পটোল কিনলেন। বললেন, রমজান মাসে সবজি কম লাগে।

বাজার ঘুরে দেখা গেল, কাঁঠালবাগান ও হাতিরপুল বাজারের চেয়ে কারওয়ান বাজারে সবজির দাম কিছুটা কম। বিক্রেতারা বললেন, কাঁঠালবাগান ও হাতিরপুল বাজারের বিক্রেতারা কারওয়ান বাজারের পাইকারি বাজার থেকে সবজি কিনে নিয়ে বিক্রি করেন। পরিবহন খরচ লাগে বলে তাঁরা কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেশি দামে বিক্রি করেন। কারওয়ান বাজারের বিক্রেতাদের এই খরচ লাগে না, তাই সেখানে দাম কিছু কম।

কারওয়ান বাজারে ঢ্যাঁড়স, পটোল, টমেটো, বরবটি, কাঁচা পেঁপে ২৫ টাকা কেজি। করলা, কাঁকরোল, শসা ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে লম্বা বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি। কাঁচা মরিচ ৫০ টাকা কেজি; দুই-তিন দিন আগেও ছিল ৪০ টাকা কেজি। অন্যান্য বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি।

তেজগাঁওয়ের বাসিন্দা আবদুর রব কারওয়ান বাজার থেকে সবজি কিনছিলেন। তিনি বলেন, পাইকারি বাজার লাগোয়া বলে এখানে সবজির দাম অন্য বাজারের চেয়ে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা কম।

সবজির চাহিদা কমায় দাম কিছু কমেছে বলে জানালেন কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. আক্তার। তবে তিনি বললেন, রমজান মাসের শেষের দিকে সব সবজির দাম বাড়তে পারে।