খেলাপি ঋণ আদায় হার ৭.৬ %

ফাইল ছবি।
ফাইল ছবি।

চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত (নয় মাস) সরকারি মালিকানাধীন আট ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪১ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা। এ সময় খেলাপি ঋণ আদায় হয়েছে ৩ হাজার ১৫২ কোটি টাকা।

জাতীয় পার্টির সাংসদ পীর ফজলুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ তথ্য জানান।

অর্থমন্ত্রীর তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে খেলাপি ঋণ আদায় হয়েছে ৭ দশমিক ৬ শতাংশ। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি খেলাপি ঋণ সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের, ১০ হাজার ৬২৯ কোটি টাকা। ব্যাংকটি নয় মাসে আদায় করেছে ৬৫৪ কোটি টাকা।

এ ছাড়া অন্য ব্যাংকগুলোর অবস্থা হলো:

১. জনতা ব্যাংক ৬ হাজার ৫১০ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ থেকে আদায় করেছে ২৫৪ কোটি টাকা।
২. অগ্রণী ব্যাংক ৬ হাজার ৮৬ কোটি টাকা থেকে আদায় করেছে ৪৮৩ কোটি টাকা।
৩. রূপালী ব্যাংক ৪ হাজার ২৬৪ কোটি টাকা থেকে আদায় করেছে ৩২৮ কোটি টাকা
৪. বেসিক ব্যাংক ৭ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা থেকে আদায় করেছে ১৫০ কোটি টাকা।
৫. বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড (বিডিবিএল) ৮৫৪ কোটি টাকা থেকে আদায় করেছে ১৩০ কোটি টাকা।
৬. বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ৪ হাজার ৬৭৯ কোটি টাকা থেকে আদায় করেছে ৯৩০ কোটি টাকা।
৭. রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক ১ হাজার ৫ কোটি টাকা থেকে ২২৩ কোটি টাকা নগদ আদায় করেছে।

সরকারদলীয় সংরক্ষিত আসনের সাংসদ পিনু খানের ভিন্ন এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রীর লিখিত জবাব হচ্ছে, দেশের ৫৫টি ব্যাংকে বর্তমানে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে ২ লাখ ২ হাজার ৬২৩ জন খেলাপি রয়েছে।

সরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মধ্যে খেলাপি ঋণগ্রহীতার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি অগ্রণী ব্যাংকের—৮ হাজার ৬০০ জন। এ ছাড়া সোনালী ব্যাংকের খেলাপি ৬ হাজার ৯৫৪ জন, জনতা ব্যাংকের ৪ হাজার ৪৯৪ জন ও রূপালী ব্যাংকের ১ হাজার ৫৮৪ জন। বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি খেলাপি ব্র্যাক ব্যাংকের ৩৯ হাজার ৫৬২ জন। বিদেশি ব্যাংকের মধ্যে বেশি স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের ৩০ হাজার ৩৩৯ জন।