দুই বছরে প্রস্তুতি নিতে হবে

আসিফ ইব্রাহীম
আসিফ ইব্রাহীম

ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে আমরা শুরু থেকেই বলে আসছিলাম, এ আইন বাস্তবায়নের জন্য এখনো পুরোপুরি প্রস্তুত নয়। আইনটি বাস্তবায়নের জন্য আনুষঙ্গিক যেসব প্রস্তুতি দরকার ছিল, সরকারের পক্ষ থেকে তা নেওয়া হয়নি। এসব প্রস্তুতি সম্পন্ন না করে আইনটি বাস্তবায়নে যাওয়া ঠিক হবে না বলেও আমরা বলেছিলাম। এ অবস্থায় আইনটির বাস্তবায়ন দুই বছর পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, সরকার এ দুই বছর সময়কে ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের প্রস্তুতির জন্য 

ভালোভাবেই কাজে লাগাবে। ইলেকট্রনিক ক্যাশ রেজিস্টার (ইসিআর) থেকে শুরু করে অন্যান্য প্রস্তুতিও যথাযথভাবে সম্পন্ন করা হবে। আর যদি সেটি সম্ভব না হয়, তাহলে এবার এসে যেসব কারণে বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি দুই বছর পর আবারও সেই পরিস্থিতি দেখা দেবে।

নতুন ভ্যাট আইনের বাস্তবায়ন পিছিয়ে যাওয়ায় তাতে সরকারের রাজস্ব আদায় খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আমি মনে করি না। আমি মনে করি এবং সব সময় বলিও। রাজস্ব আহরণের ক্ষেত্রে সব সময় আয়করকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া উচিত। আয়কর থেকেই সর্বোচ্চ রাজস্ব আহরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। আয়করের পরিধি যদি ঠিকমতো বাড়ানো যায়, তাহলে ভ্যাট থেকে যে পরিমাণ বাড়তি রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ছিল, তা আয়কর থেকেই পূরণ করা সম্ভব।

আমি মনে করি, নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন পিছিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে সরকার জনগণের দাবিকেই মেনে নিয়েছে। এর মাধ্যমে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেছে। নতুন ভ্যাট আইনটি কার্যকর করা হলে তার প্রভাব শেষ পর্যন্ত সাধারণ মানুষের ওপর গিয়েই পড়ত। সাধারণ মানুষের জন্য তা বাড়তি চাপই তৈরি করত। সেদিক থেকে এটির বাস্তবায়ন পিছিয়ে দিয়ে সরকার শুভবুদ্ধির পরিচয় দিয়েছে। এখন উচিত হবে দুই বছর সময়টাকে পরিপূর্ণভাবে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিমূলক কাজে ভালোভাবে ব্যবহার করা।