ভ্যাট অনলাইন বাস্তবায়ন চায় বিসিআই

নতুন মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট) আইনের বাস্তবায়ন দুই বছর পিছিয়ে দেওয়া হলেও অনলাইন পদ্ধতিতে ভ্যাট আদায় ও রিটার্ন জমা বা ‘ভ্যাট অনলাইন’ কার্যক্রম বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়েছে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)। সংগঠনটি বলেছে, ভ্যাট অনলাইনের সঙ্গে নতুন বা পুরোনো আইনের কোনো সম্পর্ক নেই। এটি অবিলম্বে বাস্তবায়ন করা হলে মূসক ব্যবস্থার উন্নয়নের পথে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। এতে সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে এবং শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো অহেতুক হয়রানি থেকে মুক্তি পাবে।

চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন বিসিআইয়ের সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী। তিনি ভ্যাট আইনের বাস্তবায়ন দুই বছর পিছিয়ে দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

বিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, বিপুল সংশোধনীসহ বাজেট পাস হওয়ায় অর্থনীতির বাস্তবমুখী চিন্তার জয় হয়েছে। ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন হলে দেশের দুর্বল উৎপাদনমুখী ও অবিকশিত সেবা খাত ও শিল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিসিআইয়ের দুশ্চিন্তা ছিল। নতুন আইনের ধাক্কা বড় শিল্পগুলো হয়তো সামাল দিয়ে উঠতে পারত। কিন্তু ÿক্ষুদ্র, মাঝারি ও প্রান্তিক শিল্পগুলোর জন্য বিপর্যয় নিশ্চিত ছিল। বিসিআই মনে করে, এটি দুই বছর স্থগিত করায় সার্বিক বিষয় পুনর্বিবেচনার এবং প্রস্তুতি নেওয়ার যথেষ্ট সময় পাওয়া যাবে।

নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন স্থগিত করা হলেও আনুষঙ্গিক ইতিবাচক প্রস্তাব ও কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখা হবে বলে বিসিআই আশা প্রকাশ করে। ব্যাংক হিসাবের ওপর ১ লাখ টাকা পর্যন্ত আবগারি শুল্ক অব্যাহতি দিয়ে অন্যান্য পর্যায়ে বিভিন্ন হারে কমানোয় সরকারকে ধন্যবাদ জানায় সংগঠনটি। এ ছাড়া মোটরসাইকেল শিল্পের ওপর স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি ও শুল্কসুবিধা প্রদান, স্থানীয় উৎপাদনকারী ও সংযোজনকারীর আমদানি করা রেফ্রিজারেটর যন্ত্রাংশের সম্পূরক শুল্ক হ্রাস করা, তৈরি পোশাকশিল্পে পরিবেশবান্ধব ও সাধারণ কারখানার করপোরেট কর হার কমানোয় বিসিআই সরকারকে ধন্যবাদ জানায়। তবে বিসিআইয়ের সভাপতি অন্যান্য ক্ষেত্রে করপোরেট কর কমানো ও ব্যক্তিশ্রেণির করদাতার করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে ৩ লাখ টাকা করার দাবি জানান।