অর্থমন্ত্রী দুটি পত্রিকার বিরুদ্ধে মামলা করবেন

আবুল মাল আবদুল মুহিত  l ফাইল ছবি
আবুল মাল আবদুল মুহিত l ফাইল ছবি

মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করায় দৈনিক আমাদের অর্থনীতি ও ইংরেজি দৈনিক এশিয়ান এজ নামের দুটি পত্রিকার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

সচিবালয়ে গতকাল বুধবার অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘পত্রিকা দুটি লিখেছে যে চীন সফরে ছেলে বা মেয়েকে সঙ্গে নেওয়ার জন্য বিমানের টিকিট মেলেনি। তাই আমি চীন সফর বাতিল করেছি। এটা সম্পূর্ণ ভুয়া খবর।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রিত্বের ৯ বছর হয়ে গেল, সরকারি ছাড়া অন্য কারও অর্থে তিনি কখনো বিদেশে যাননি। অথচ লিখে দিল...। আসল ঘটনা হচ্ছে, চীনের বেইজিংয়ে ইউরোমানি চীন-বাংলাদেশ বিনিয়োগ ফোরামের একটি সম্মেলনে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব করলে তিনি তাতে আংশিক রাজি হন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘পরে চীনে আমাদের রাষ্ট্রদূতের কাছে খবর নিয়ে জানতে পারি যে চীন সরকার এ ধরনের আয়োজনের ব্যাপারে কিছুই জানে না এবং আয়োজকেরা চীন সরকার থেকেও কোনো অনুমতি নেয়নি। ভাবলাম, ভালোই হলো। আমি তো ওখানে যেতেই চাই না।’

আমাদের অর্থনীতিএশিয়ান এজ পত্রিকা দুটির প্রতিবেদন অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের পড়ে শোনান।

আমাদের অর্থনীতির প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, অর্থমন্ত্রী বেইজিংয়ে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। অর্থমন্ত্রীর পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) আয়োজকদের জানায়, অর্থমন্ত্রী তাঁর ছেলে বা মেয়েকে সঙ্গে নিতে চান বলে একটি অতিরিক্ত বিমানের টিকিট দরকার। আয়োজকেরা ইআরডিকে জানায়, টিকিট দেওয়া যাবে না। এশিয়ান এজ-এর প্রতিবেদনেও এই কথাগুলোই ছাপানো হয়।

উভয় প্রতিবেদনে ইআরডির সূত্র ব্যবহার করা হয়েছে বলে অর্থমন্ত্রী গতকাল সাংবাদিকদের সামনেই ইআরডি সচিব কাজী শফিকুল আযমের কাছে মুঠোফোনে জানতে চান, প্রতিবেদন দুটি তিনি দেখেছেন কি না এবং দেখে থাকলে এদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন।

ইআরডি থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো সারসংক্ষেপ অনুযায়ী, অর্থমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রীর একান্ত সচিব এবং অর্থমন্ত্রীর সহায়কের (তাঁর ছেলে বা ছেলের স্ত্রী) খরচ সরকার বহন করবে বলে ৩ আগস্ট সই করেন প্রধানমন্ত্রী।

অর্থমন্ত্রী জানান, পত্রিকা দুটি আদ্যোপান্ত মিথ্যা প্রতিবেদন তৈরি করেছে এবং তিনি পত্রিকা দুটির বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকা করে মোট ২০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করার নোটিশ দেবেন। পরে প্রেস কাউন্সিলেও যাবেন।

এর আগে জনকণ্ঠইত্তেফাক-এর বিরুদ্ধেও মামলা করেছিলেন বলে সাংবাদিকদের জানান অর্থমন্ত্রী।