ভালো আর্থিক প্রতিবেদন বিনিয়োগে সহায়ক

ভালো আর্থিক প্রতিবেদন কোম্পানির আর্থিক ব্যবস্থাপনাকে কার্যকর করে তোলে। এসব প্রতিবেদনের মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা বুঝতে পারেন যে কীভাবে বিনিয়োগ করা হবে। অন্যদিকে ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল (এফআরসি) থাকলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়ে। তবে এফআরসির কাঠামোতে সনদধারী হিসাববিদ বৃদ্ধি করা উচিত। কেননা, ১২ সদস্যবিশিষ্ট এফআরসির মধ্যে মাত্র দুজন হিসাববিদ আছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার দ্য ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউনট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) আয়োজিত মেম্বারস কনফারেন্সে উপস্থাপিত মূল প্রবন্ধে এসব কথা বলা হয়েছে। ‘আর্থিক প্রতিবেদন পর্যবেক্ষণ: বৈশ্বিক চর্চা ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রঞ্জন কুমার মিত্র। আইসিএবির সভাপতি আদিব হোসেন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের (এফআরসি) চেয়ারম্যান সি কিউ কে মোস্তাক আহমেদ।

সনদধারী হিসাববিদদের উদ্দেশে সি কিউ কে মোস্তাক আহমেদ বলেন, আপনারা বৈশ্বিক মানদণ্ডে আর্থিক প্রতিবেদন তৈরি করেন, এটা হতে পারে। কিন্তু জনগণের দৃষ্টিতে দেখলে এসব আর্থিক প্রতিবেদন অবশ্যই পর্যবেক্ষণ করা দরকার। সংশ্লিষ্ট সব গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনা করেই এফআরসি গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এফআরসি গঠনের উদ্দেশ্য হলো বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নত করা এবং জনগণের স্বার্থ রক্ষা করা। তিনি আরও বলেন, হিসাব নিরীক্ষার পাশাপাশি করপোরেট সুশাসন নিয়ে এফআরসির কাজ করার আগ্রহ আছে।

সি কিউ কে মোস্তাক আহমেদের মতে, পুরো বিষয়টি নিয়ন্ত্রক সংস্থার দৃষ্টিতে না দেখে আলাপ-আলোচনার আলোকে বিষয়টি দেখতে হবে। আইনটি যখন বাস্তব অর্থে প্রয়োগ হবে, তখন কোনো সমস্যা হলে তা সমাধান করা যাবে।

আদিব হোসেন খান বলেন, আর্থিক প্রতিবেদনের মান বৃদ্ধির যেকোনো উদ্যোগকেই স্বাগত জানাই। আমরা সবাই চাই, ন্যায্যতা ও স্বচ্ছতার আলোকে এফআরসি ভালো আর্থিক প্রতিবেদন তৈরিতে কাজ করবে। উচ্চমানের আর্থিক প্রতিবেদন কোম্পানিকে যৌক্তিক মুনাফা পেতে সহায়তা করে।

অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন আইসিএবির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান কাউন্সিল মেম্বার মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন। আরও বক্তব্য দেন আইসিএবির সহসভাপতি মোস্তফা কামাল।