কারখানায় শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর ব্যবস্থা রাখতে হবে

শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক বলেছেন, যেসব শিল্পকারখানায় ৪০-এর বেশি নারী শ্রমিক কাজ করেন, সেখানে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার বা শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর ব্যবস্থা রাখতে হবে।

জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে ‘মাদারস অ্যাট ওয়ার্ক’ শীর্ষক জাতীয় উদ্যোগের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গতকাল মঙ্গলবার এসব কথা বলেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি হয়। ইউনিসেফ ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

‘মাদারস অ্যাট ওয়ার্ক’ উদ্যোগের মূল লক্ষ্য পোশাকশিল্প খাতে নারী শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে সমর্থন দেওয়া এবং কর্মক্ষেত্রে শিশুদের বুকের দুধ খাওয়ানোর বিষয়ে প্রচারণা চালানো। এটি স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং শ্রম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা হবে। এ জন্য ইউনিসেফ ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) বেটার ওয়ার্ক প্রোগ্রাম একটি যৌথ কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে। প্রাথমিকভাবে তৈরি পোশাক খাতের দুই প্রতিষ্ঠান ডিবিএল ও ভিশন অ্যাপারেলসে উদ্যোগটি চালু করা হয়েছে।

শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, শ্রম আইনের ৯৪ ধারা অনুযায়ী যেসব কারখানায় ৪০ জনের বেশি নারী শ্রমিক রয়েছে, সেখানে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার না থাকলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বিষয়টি তদারকি করার জন্য কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেন।

আইএলওর এ-দেশীয় পরিচালক শ্রীনিবাস রেড্ডি বলেন, মায়ের দুধ খাওয়ানোকে উৎপাদনের অন্তরায় হিসেবে দেখলে চলবে না। বরং যেসব মা তাঁদের সন্তানকে বুকের দুধ দেন, কর্মক্ষেত্রে তাঁদের স্থায়িত্ব বেশি এবং এভাবেই দক্ষ জনশক্তি ধরে রাখা সম্ভব। পোশাকশিল্পের জন্য দক্ষ জনশক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব রুহুল আমিন তালুকদার, বিজিএমইএর পরিচালক সাইফ উদ্দিন, বিকেএমইএর সাবেক সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি এডওয়ার্ড বেগবেডার প্রমুখ।