আগামী বাজেটের আকার সাড়ে চার লাখ কোটি টাকা!

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। প্রথম আলো ফাইল ছবি
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। প্রথম আলো ফাইল ছবি

আগামী অর্থবছরের বাজেটের আকার সাড়ে চার লাখ কোটি টাকা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার কর অঞ্চল-৩ আয়োজিত আয়কর ক্যাম্প ও করদাতা উদ্বুদ্ধকরণ অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।

মিরপুর কনভেনশন সেন্টারে এই অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা দিন দিন উন্নতি করছে। এক সময় বাংলাদেশ সাহায্যনির্ভর দেশ ছিল। এখন আগের মতো আর সাহায্য নিতে হয় না। বিদেশ থেকে যে অর্থ নেওয়া হয়; সে জন্য সুদ দেওয়া হয়। বাংলাদেশ এখন বিপদগ্রস্ত ও দুর্দশাগ্রস্ত দেশগুলোকে অনুদান দেয়। এটাই উন্নয়নের পরিবর্তন। এভাবে ভবিষ্যতের দিনগুলো রচনা করা হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় আগামী অর্থবছরে সাড়ে চার লাখ কোটি টাকার বাজেট করতে হবে।

অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, দেশে তরুণ করদাতার সংখ্যা বাড়ছে। এটা বেশ গর্বের বিষয়। গত ৮/৯ বছর ধরেই করদাতাদের মধ্যে কর প্রদানের সংস্কৃতি শুরু হয়েছে। তিনি করদাতাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করার জন্য কর কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান বলেন, কর দিয়ে বাহাদুরি দেখানোর সময় এটাই। করসংক্রান্ত সেবা সারা দেশে পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ হিসেবে আয়কর ক্যাম্প হচ্ছে। এখন ইউনিয়ন পর্যায়ে কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) দেওয়া, ভ্যাট সেবা দেওয়া হচ্ছে। অতীতের সব দুর্নাম ঘুচিয়ে কর কর্মকর্তারা করদাতাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা-১৬ আসনের সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ, এনবিআর সদস্য আবদুর রাজ্জাক। সভাপতিত্ব করেন কর অঞ্চল-৩-এর কমিশনার নাহার ফেরদৌসি বেগম। এতে স্থানীয় বিপুলসংখ্যক করদাতা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে কয়েকজন করদাতার হাতে আয়কর সনদ তুলে দেওয়া হয়।

এই কর অঞ্চলের আওতায় আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দুটি স্থানে আয়কর ক্যাম্প চালু থাকবে। দুটি স্থান হলো—পল্লবী শপিং কমপ্লেক্স ও মোহাম্মদী মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়। সেসব সেবা পাওয়া যাবে, সেগুলো হলো—ইলেকট্রনিক টিআইএন প্রদান, আয়কর বিবরণী পূরণে সহায়তা করা, রিটার্ন নেওয়া, রিটার্ন দাখিলের প্রাপ্তি স্বীকারপত্র এবং রিটার্ন সনদ দেওয়া।