চট্টগ্রামে কাল থেকে আয়কর মেলা শুরু

আগামীকাল বুধবার থেকে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি কনভেনশন সেন্টারে সপ্তাহব্যাপী আয়কর মেলা শুরু হচ্ছে। এবারের মেলায় ৬০০ কোটি টাকা আয়কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার নগরের আগ্রাবাদে সরকারি কার্যভবনে আয়কর বিভাগের সম্মেলনকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান কর অঞ্চল-১-এর কমিশনার মাহবুব হোসেন। এ সময় আয়কর বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মাহবুব হোসেন বলেন, করসেবা প্রদান এবং জনসচেতনতা বাড়াতে এই মেলা আয়োজন করা হচ্ছে। এবার মেলায় ৪৩টি স্টল থেকে করদাতারা সেবা নিতে পারবেন। রিটার্ন জমা দেওয়ার পর করদাতাকে ট্যাক্স কার্ড প্রদান করা হবে। মেলা চত্বরে সোনালী ও জনতা ব্যাংকের বুথ থাকবে। সেখানে আয়কর জমা দেওয়া যাবে।

কর কমিশনার বলেন, ২০১০ সাল থেকে নিয়মিত আয়কর মেলা আয়োজন করা হচ্ছে। ২০১০ সালের মেলায় ১৪ হাজার ৩৩০টি আয়কর রিটার্ন জমা পড়ে মেলায়। রাজস্ব আদায় হয় ৪০ কোটি টাকা। গত বছর মেলায় ১৮ হাজার ৩৪৯টি আয়কর রিটার্ন জমা পড়ে। এতে আদায় হয় ৫১৬ কোটি টাকা। এবার ২২ হাজার রিটার্ন থেকে ৬০০ কোটি টাকা আয়কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন তাঁরা।

সংবাদ সম্মেলনে কর অঞ্চল-২-এর কমিশনার প্রদ্যুৎ কুমার সরকার বলেন, চট্টগ্রাম কর অঞ্চলের অধীনে কক্সবাজার, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলা সদরে চার দিনব্যাপী আয়কর মেলা আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়া সীতাকুণ্ড উপজেলাতেও দুই দিন আয়কর মেলা হবে। চট্টগ্রামে অপর ১৩টি উপজেলায় এক দিন করে ভ্রাম্যমাণ আয়কর মেলা অনুষ্ঠিত হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কর অঞ্চল-৩-এর কমিশনার মো. মোতাহের হোসেন, কর আপিল অঞ্চলের কমিশনার মো. নাজমুল করিম, কর অঞ্চল-৪-এর কমিশনার আহাম্মদ উল্যাহ, কর অঞ্চল-৪-এর পরিদর্শী রেঞ্জ-১-এর অতিরিক্ত কর কমিশনার মোহাম্মদ মফিজ উল্যা ও কর অঞ্চল-১-এর পরিদর্শী রেঞ্জ-১-এর অতিরিক্ত কর কমিশনার সফিনা জাহান।

আয়কর বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর রয়েছে ৩১ লাখ। এর মধ্যে চট্টগ্রামে রয়েছে ৩ লাখ ৩০ হাজার ৪৪৯ জন। গত বছর রিটার্ন জমা দিয়েছেন ১ লাখ ৫ হাজার জন। তাঁদের কাছ থেকে ৮ হাজার ৪১৮ কোটি টাকা আয়কর আদায় করা হয়েছে, যা সারা দেশের আয়কর আদায়ের ১৩ শতাংশ।