হোন্ডায় হবে এক লাখ মোটরসাইকেল

বাংলাদেশে জাপানের মোটরসাইকেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হোন্ডা মোটর করপোরেশনের নতুন কারখানায় আগামী বছরের মাঝামাঝি থেকে উৎপাদন শুরু হবে। প্রথম বছর এ কারখানায় উৎপাদন করা হবে প্রায় ১ লাখ মোটরসাইকেল।
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় আবদুল মোনেম ইকোনমিক জোনে গতকাল রোববার কারখানাটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়। শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এ সময় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরোয়াসু ইজুমি, হোন্ডা মোটরসের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রধান সিনজি আয়োয়ামা, বাংলাদেশ হোন্ডা লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইউইচিরো ইশি ও হেড অব ফাইন্যান্স অ্যান্ড কমার্শিয়াল শাহ্ মুহাম্মদ আশিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
হোন্ডার নতুন কারখানাটি যৌথ বিনিয়োগে হচ্ছে। এতে বিনিয়োগ হবে প্রায় সাড়ে তিন শ কোটি টাকা। জমির পরিমাণ ২৫ একর। এর ৩০ শতাংশ মালিকানা থাকছে বাংলাদেশ ইস্পাত প্রকৌশল করপোরেশনের (বিএসইসি)।
অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও জাপানের যৌথ বিনিয়োগে স্থাপিত মোটরসাইকেল কারখানায় বিএসইসি ৮৯ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। বাকি ৭০ শতাংশ শেয়ারের অর্থ বিনিয়োগ করবে হোন্ডা। তিনি বলেন, দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে মোটরসাইকেলের ব্যবহার বাড়ছে। আগামী ৫ বছরে দেশে মোটরসাইকেলের চাহিদা ৩৫ শতাংশ বাড়বে।
আমির হোসেন আমু বলেন, চলতি বছরে মোটরসাইকেল সংযোজনের পাশাপাশি উৎপাদনশিল্প গড়ে তুলতে বিদ্যমান আইন সংশোধন ও নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। মোটরসাইকেল উৎপাদননীতির খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে। শিগগিরই নীতি প্রণয়ন করা হবে। এ উদ্যোগের পরে দেশে মোটরসাইকেল উৎপাদনে এগিয়ে আসছেন উদ্যোক্তারা। তিনি বলেন, ২০২৫ সালে দেশের ১০ লাখ মোটরসাইকেল উৎপাদন করা হবে।
বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, হোন্ডার কারখানা স্থাপনের মধ্য দিয়ে অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিদেশি বিনিয়োগের স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চলে ভূমি অধিগ্রহণ প্রায় চূড়ান্ত। আগামী বছরের মাঝামাঝি সেখানে জাপানের আরও বড় গ্রুপের বিনিয়োগ আসবে।
জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, জাপানি কোম্পানি এ দেশে শুধু মোটরসাইকেল উৎপাদনে সীমাবদ্ধ থাকবে না। এখানে চার চাকার গাড়ি তৈরি করবে। জাপানের অন্যান্য উদ্যোক্তারা এ দেশে বিনিয়োগ বাড়াবে।
সিনজি আয়োয়ামা বলেন, এ দেশে মোটরসাইকেলের বাজার বাড়ছে। সরকারও মোটরসাইকেল উৎপাদনে কর ও শুল্ক কাঠামোতে সুবিধা দিয়েছে। এ কারণে কারখানা স্থাপনে এগিয়ে আসছে হোন্ডা।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে জানানো হয়, উৎপাদন শুরুর প্রথম বছরে প্রতিষ্ঠানটি ১ লাখ মোটরসাইকেল উৎপাদন করা হলেও পরে তা ২ লাখে উন্নীত করা হবে। পঞ্চম বছরে গিয়ে উৎপাদনক্ষমতা ৫ লাখে উন্নীত করার পরিকল্পনার কথাও কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়।