কর কার্যালয়েও মিলবে মেলার সব সুবিধা

আপনি যদি কর মেলায় বার্ষিক আয়কর বিবরণী জমা না দিয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য সুখবর। করদাতারা কর মেলায় যেসব সুবিধা পেয়েছেন, এখন সবই পাবেন কর কার্যালয়ে। আজ রোববার থেকে কর কার্যালয়ে এসব সুবিধা মিলবে। কর কার্যালয়ে রিটার্ন জমা দিয়েও ঢাকার করদাতারা পাবেন কর কার্ড।

ইতিমধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এনবিআর জানিয়েছে, ১২ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিটি কর অঞ্চলে কর মেলা অনুষ্ঠিত হবে। মেলার পরিবেশে করদাতাদের সব সুবিধা দেওয়া হবে। আর ২০ থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত রিটার্নের প্রাপ্তি রসিদ দেখিয়ে ঢাকার করদাতারা নিজ নিজ কর অঞ্চল থেকে কর কার্ড নিতে পারবেন।

এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, গতবারের মতো এবার নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে কর সপ্তাহ পালন করা হবে।

এবারের কর মেলায় করদাতাদের ব্যাপক সমাগম হয়। এবারই প্রথমবারের মতো ঢাকা ও চট্টগ্রামের করদাতারা রিটার্ন দিলে কর কার্ড দেওয়া হয়। এতে ব্যাপক আগ্রহ দেখা যায় করদাতাদের মধ্যে। ব্যাপক আগ্রহের বিষয়টি মাথায় রেখে ঢাকার করদাতাদের জন্য কর কার্যালয়েও কর কার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

৩০ নভেম্বর রিটার্ন জমার সময় শেষ হবে। এই সময়ে করদাতারা রিটার্ন দিতেই কর কার্যালয়ে ভিড় করবেন, এটাই স্বাভাবিক। তাই প্রতিটি কর অঞ্চলে করদাতাদের সহায়তার জন্য বুথ থাকবে। সেখানে ফরম পূরণ যাবতীয় কাজে সহায়তা করা হবে। ইলেকট্রনিক কর শনাক্তকরণ নম্বর (ই-টিআইএন), পুনর্নিবন্ধন, টিআইএনে ভুল-ত্রুটি সংশোধনসহ যেকোনো কর সেবাই মিলবে। এ ছাড়া নারী, প্রতিবন্ধী, মুক্তিযোদ্ধা, প্রবীণ করদাতাদের বিশেষ যত্নে কর সেবা দেওয়া হবে। এ ছাড়া অনলাইনে রিটার্ন জমা বা ই-ফাইলিং করার সুযোগ পাবেন।

এবারই প্রথমবারের মতো বেসরকারি চাকরিজীবীদের রিটার্ন দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তাই এবার তুলনামূলক বেশি রিটার্ন জমা পড়বে বলে আশা করছে এনবিআর। বর্তমানে ৩১ লাখ টিআইএনধারী আছেন। গতবার সব মিলিয়ে ১৫ লাখের মতো টিআইএনধারী রিটার্ন জমা দিয়েছেন।

করদাতার তথ্য

করমুক্ত আয়সীমা আগের মতোই আড়াই লাখ টাকা রয়েছে। আড়াই লাখ টাকার বেশি করযোগ্য আয় হলেই আপনাকে তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা কর দিতে হবে। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন; অন্যান্য সিটি করপোরেশন এবং সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরে ন্যূনতম কর যথাক্রমে ৫ হাজার টাকা, ৪ হাজার টাকা ও ৩ হাজার টাকা বহাল রাখা হয়েছে।

রিটার্ন দেওয়ার আগে যেসব কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে সেগুলো হলো গতবারের রিটার্ন জমার কপি; সংশ্লিষ্ট সার্কেলের রসিদ; জমি, ফ্ল্যাট কেনাবেচার দলিলের ফটোকপি; সঞ্চয়পত্র, এফডিআর, ডিপিএস ভাঙানোর নগদায়ন সনদ; গাড়ির ফিটনেস জমার সময় অগ্রিম কর দেওয়ার রসিদ; উৎসে আয়কর দিলে এর রসিদ; সব ধরনের ব্যাংক হিসাবের বিবরণী; শেয়ার কেনাবেচা ও লভ্যাংশ পাওয়ার দলিল ইত্যাদি।