প্রবাসী আয় বেড়েছে ২৮ শতাংশ

প্রবাসী আয় আবারও বাড়তে শুরু করেছে। গত নভেম্বর মাসে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স এসেছে ১২১ কোটি ৪৭ লাখ ডলার, যা আগের মাস অক্টোবরের চেয়ে ৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ বেশি। অক্টোবর মাসে ১১৫ কোটি ৯০ লাখ ডলারের প্রবাসী আয় এসেছিল।

গত অর্থবছরের একই সময়ের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, প্রবাসী আয় বেড়েছে প্রায় ২৭ দশমিক ৬৭ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় গত মাসে ২৬ কোটি ৩৩ লাখ বেশি প্রবাসী আয় এসেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সব মিলিয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) রেমিট্যান্স আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এই পাঁচ মাসে দেশে ৫৭৬ কোটি ৮৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, টাকার বিপরীতে ডলার তেজি হয়েছে। এ ছাড়া ডিজিটাল হুন্ডি বন্ধের উদ্দেশ্যে বিকাশের বেশ কিছু এজেন্ট ও হিসাব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে প্রবাসী আয়ে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা প্রথম আলোকে বলেন, ‘বেশ কিছু কারণে প্রবাসী আয় কমে গিয়েছিল। এর সব আমাদের হাতে নেই। আমরা হুন্ডি বন্ধ করতে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার বিরুদ্ধে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। ডলারের দামও বাড়তে শুরু করেছে। ফলে প্রবাসী আয় বাড়তে শুরু হয়েছে।’

দীর্ঘদিন ধরেই রেমিট্যান্স প্রবাহে নিম্নমুখী প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে প্রায় সাড়ে ১৪ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইতে ১১১ কোটি ৫৫ লাখ ডলার ও আগস্টে ১৪১ কোটি ৮৫ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স আসে। তবে সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স আসে মাত্র ৮৫ কোটি ৩৭ লাখ ডলার। আর অক্টোবরে আসে ১১৫ কোটি ৯০ লাখ ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যে আরও দেখা যায়, নভেম্বর মাসে রাষ্ট্রীয় খাতের ছয় বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে ২৬ কোটি ৯৬ লাখ মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। এই মাসে বিশেষায়িত খাতের ব্যাংক দুটির মাধ্যমে এসেছে ৯৮ লাখ ডলার। তথ্যে আরও দেখা যায়, বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে নভেম্বর ৯২ কোটি ১ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স দেশে এসেছে। আর বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে দেড় কোটি ডলার।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১৬-১৭ দেশে রেমিট্যান্স আসে ১ হাজার ২৭৬ কোটি ডলার; যা গত পাঁচ অর্থবছরের মধ্যে সর্বনিম্ন ছিল। এটি আগের অর্থবছরের তুলনায় সাড়ে ১৪ শতাংশ কম ছিল। আগের অর্থবছরে রেমিট্যান্স আসে ১ হাজার ৪৯৩ কোটি ডলার।