অ্যালায়েন্সের ২৪৭ কারখানার সংস্কারকাজ শেষ

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

উত্তর আমেরিকার ক্রেতাদের জোট অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার সেফটির সদস্য আরও ১৩টি পোশাক কারখানার বৈদ্যুতিক, অগ্নি ও ভবনের অবকাঠামোগত ত্রুটির সংস্কারকাজ শেষ করেছে। এতে করে জোটের সদস্য ২৪৭ কারখানার সংস্কারকাজ শেষ হলো। 

নতুন করে সংস্কারকাজ শেষ হওয়া ১৩ কারখানা হচ্ছে অবনি নিটওয়্যার লিমিটেড, অনন্ত ডেনিম টেকনোলজি লিমিটেড, চেকপয়েন্ট সিস্টেম, ক্রিয়েটিভ ওয়াশ, গিবি (বাংলাদেশ) লিমিটেড, ন্যাটকো গ্লোবাল প্যাকেজিং ঢাকা লিমিটেড, রিশাল গার্মেন্টস, রওয়া ফ্যাশন, সিলভার কম্পোজিট টেক্সটাইল, সিম্বা ফ্যাশন, স্ট্যান্ডার্ড স্টিচেস, তারাসিমা অ্যাপারেলস এবং উইনসাম ফ্যাশনওয়্যার। সম্প্রতি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে অ্যালায়েন্স।
সংস্কারকাজে সন্তোষজনক অগ্রগতি না হওয়ায় নতুন করে একটি কারখানার সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে অ্যালায়েন্স। কারখানাটির নাম পিনারি টেক্সটাইল লিমিটেড। এতে করে এখন পর্যন্ত অ্যালায়েন্সের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন হওয়া কারখানার সংখ্যা ১৬৪-এ দাঁড়াল।
রানা প্লাজা ধসের পর দেশের পোশাক খাতের কর্মপরিবেশ উন্নয়নে অ্যালায়েন্স গঠিত হয়। একই সঙ্গে ইউরোপীয় ক্রেতাদের জোট অ্যাকর্ড অন ফায়ার অ্যান্ড বিল্ডিং সেফটি ইন বাংলাদেশ গঠিত হয়। গত নভেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত অ্যাকর্ডের সদস্য ৯টি কারখানা সংস্কারকাজ সম্পন্ন করেছে। কারখানাগুলো হচ্ছে স্পিরিট অ্যাপারেল লিমিটেড, রিও ফ্যাশনওয়্যার, ড্রেস শার্ট, আজিম মান্নান গার্মেন্টস, এঅ্যান্ডবি আউটার ওয়্যার, লয়েল অ্যাপারেলস, কটন ক্লাউন্ট, কটন ক্লাব ও উইন্ডি অ্যাপারেল। সব মিলিয়ে অ্যাকর্ডের সদস্য ৯৬টি কারখানা সংস্কারকাজ শেষ করেছে।
এদিকে সংস্কারকাজে সন্তোষজনক অগ্রগতি না হওয়ায় ৮৩ কারখানার সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করে অ্যাকর্ড। এসব কারখানা অ্যাকর্ডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ২০০-এর বেশি ব্র্যান্ড ও ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানের পোশাক তৈরির ক্রয়াদেশ পাবে না।