উড়োজাহাজেই বিলাসবহুল হোটেলের আমেজ

বিমানের বিলাসবহুল কেবিন যেমন হয়
বিমানের বিলাসবহুল কেবিন যেমন হয়

কাল সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুর থেকে সিডনি পথে উড়াল দিল সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের নতুন এয়ারবাস এ৩৮০। এই উড্ডয়নের মধ্য দিয়ে নতুন যুগ শুরু হলো বিমান সংস্থাটির। এ সময়ের সবচেয়ে বড় ও আধুনিক এয়ারবাস এ৩৮০-র ১৯টি বিমান নিয়ে নতুন এই অধ্যায় শুরু করল সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস। এর মধ্যে ৫টি নতুন বিমান এসে যুক্ত হয়েছে মাত্রই, গত বৃহস্পতিবার।

ইকোনমিসহ চারটি শ্রেণিতে যাত্রীদের ভ্রমণসুবিধা দেবে এয়ারবাসগুলো। সব মিলে প্রতিটি এয়ারবাসে আসন রয়েছে ৪৭১টি। এর মধ্যে সুইট আছে ছয়টি। আর ৭৮টি বিজনেস, ৪৪টি প্রিমিয়াম ইকোনমি ও ৩৪৩টি ইকোনমি ক্লাস বা শ্রেণির আসন রয়েছে। সুইটগুলোতে যাত্রীরা আকাশভ্রমণে বিলাসবহুল হোটেলের মতো অভিজ্ঞতা পাবেন বলে জানিয়েছে বিমান সংস্থাটি।

সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের নতুন স্লোগান ‘স্পেস মেড পারসোনাল, এক্সপেরিয়েন্স দ্য ডিফারেন্স’ বোঝাচ্ছে, বিমানে ঠাসাঠাসি করে ভ্রমণ করার দিন ফুরিয়ে আসছে। এমনকি সাশ্রয়ী ইকোনমি শ্রেণিতেও যাত্রীদের যত বেশি সম্ভব জায়গা দিতে তৈরি এ বিমান সংস্থা। এয়ারবাস এ৩৮০-র ইকোনমি প্রিমিয়াম শ্রেণির আসনগুলো অনেকটা বিজনেস ক্লাসের আসনের মতোই আরামদায়ক অভিজ্ঞতা দেবে যাত্রীদের। যাত্রীদের ভ্রমণকালীন বিনোদনের পাশাপাশি খাবারেও নতুনত্ব এনেছে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস।

সিডনির পাশাপাশি সিঙ্গাপুর থেকে অকল্যান্ড, বেইজিং, ফ্রাঙ্কফুর্ট, হংকং, লন্ডন, মেলবোর্ন, মুম্বাই, দিল্লি, নিউইয়র্ক, প্যারিস, সাংহাই ও জুরিখে এয়ারবাস এ৩৮০-র ফ্লাইট পরিচালনা করবে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস। অর্থাৎ বিশ্বের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক শহরে থাকছে এই যাত্রীসেবা। ঢাকা থেকে সরাসরি না হলেও ঢাকা-সিঙ্গাপুর হয়ে ওই গন্তব্যগুলোতে যেতে পারবেন বাংলাদেশের যাত্রীরা।

সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার টুই মিন ওয়াং প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে প্রচুর যাত্রী অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বা মেলবোর্নে যেতে তাদের এয়ারলাইন ব্যবহার করেন। এই যাত্রীরা এখন এয়ারবাস এ৩৮০-এ আকাশভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন।

এদিকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এখনো এয়ারবাস এ৩৮০-র উপযোগী নয় বলে সরাসরি এখান থেকে এই ফ্লাইট পরিচালনা করা সম্ভব নয় বলে জানা গেছে।

সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের প্রধান নির্বাহী গো চুন পং বলেছেন, ‘আমাদের যাত্রীদের মধ্যে এয়ারবাস এ৩৮০ খুবই জনপ্রিয়। নতুন কেবিন-সেবার মাধ্যমে তাঁদের এই ভ্রমণ অভিজ্ঞতা নতুন একটা ধাপে নিয়ে যেতে পেরে আমরা গর্বিত। চার বছর ধরে উন্নয়ন করার পর এই নতুন কেবিন-সেবা যাত্রীদের সামনে হাজির করা হয়েছে। আমরা আত্মবিশ্বাসী, এই সেবা যাত্রীদের চমকে দেবে।’