রান্নায় ১২ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন

রান্নার কাজে ১২ দশমিক ১ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। পল্লি অঞ্চলে হারটি ৭ শতাংশ হলেও পৌর এলাকায় ২০ শতাংশ এবং সিটি করপোরেশন এলাকায় ২৭ দশমিক ৫ শতাংশ।

বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিলের (ইপিআরসি) সহযোগিতায় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) বিদ্যুৎ সরবরাহবিষয়ক জনমত জরিপ ২০১৬-১৭-তে এমন তথ্যই উঠে এসেছে। রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনের মুক্তি হলে আজ রোববার বিকেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

জরিপের ফলাফল তুলে ধরেন বিবিএসের কর্মকর্তা সি এস রায়। তিনি বলেন, মোবাইল ফোনে ১৪ হাজার ৯৯৬ গ্রাহকের সাক্ষাৎকারের নিয়ে জরিপটি করা হয়েছে। তবে গ্রীষ্মকালে ৯ হাজার ৯২৭ ও শীতকালে ৯ হাজার ৬৭৩ জনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। গ্রাহকদের মধ্যে ৭৩ দশমিক ৬ শতাংশ পল্লি, ১৭ দশমিক ৯ শতাংশ পৌর এবং সাড়ে ৮ শতাংশ শহর এলাকায় বসবাস করেন।

জরিপে উঠে এসেছে, সামগ্রিকভাবে দেশের ১১ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যাপারে সন্তুষ্ট। ৪৫ দশমিক ৮ শতাংশ সন্তুষ্ট, ২৯ দশমিক ৯ শতাংশ মোটামুটি সন্তুষ্ট এবং ১৩ দশমিক ১ শতাংশ মানুষ সন্তুষ্ট নয়। তবে গ্রীষ্ম ও শীতকালে সন্তুষ্টি ও অসন্তুষ্টির হারের মধ্যে পার্থক্য আছে। বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যাপারে গ্রীষ্মকালে ৯ দশমিক ২ শতাংশ খুবই সন্তুষ্ট, ৪৭ দশমিক ২ শতাংশ সন্তুষ্ট, ৩১ শতাংশ মোটামুটি সন্তুষ্ট এবং ১২ দশমিক ৭ শতাংশ অসন্তুষ্ট। আর শীতকালে ১৩ দশমিক ৩ শতাংশ খুবই সন্তুষ্ট, ৪৪ দশমিক ৭ শতাংশ সন্তুষ্ট, ২৮ দশমিক ৮ শতাংশ মোটামুটি সন্তুষ্ট এবং ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ অসন্তুষ্ট।

প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ৪৫ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ পেত। বর্তমানে ৯০ শতাংশ মানুষ বিদ্যুতের আওতায় চলে আসছে। মানসম্মত ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। তবে বিষয় নিয়ে কাজ চলছে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বিদ্যুৎ-সচিব আহমদ কায়কাউস, ইপিআরসির চেয়ারম্যান শাহিন আহমেদ চৌধুরী, পিডিবির চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ প্রমুখ।