বাণিজ্য মেলায় লাইবা রুটি মেকার

লাইবা রুটি মেকার। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
লাইবা রুটি মেকার। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

যান্ত্রিক শহুরে জীবনে আমাদের অনেকেরই সকাল শুরু হয় রুটি খেয়ে। শিক্ষিত ও স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ ভাতের পরিবর্তে রুটি খেতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। ঘরে ঘরে যারা রুটি বানান, মা-বোনেরা জানেন যে রুটি বানানো মোটেই সহজ কাজ নয়। আর প্রতিদিনের এই কষ্ট ও ঝামেলার ব্যাপারটি নিয়ে ভেবেছেন মাগুরার হ‌ুমায়ূন কবির। দীর্ঘ পাঁচ বছর গবেষণা করে তিনি উদ্ভাবন করেন রুটি বানানোর একটি কাঠের তৈরি যন্ত্র। নিজের মেয়ের নামে তিনি রুটি বানানোর যন্ত্রটির নাম দেন লাইবা রুটি মেকার “Laaibah Ruti Maker”।

উদ্ভাবক হ‌ুমায়ূন কবির এ যন্ত্র তৈরির কাজে হাত দেন ২০১১ সালে। অনেক নিরীক্ষার পর হ‌ুমায়ূন কবির আজকের এই আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব রুটি মেকারটি বানাতে সক্ষম হন এবং বাজারজাত করার কথা চিন্তা করেন। এ উদ্ভাবনের জন্য তিনি পরিবেশ অধিদপ্তরের সম্মাননা পেয়েছেন এবং পেটেন্ট নিবন্ধনও করেছেন। এই যন্ত্রের বিশেষত্ব হলো এতে বিদ্যুতের প্রয়োজন নেই। খুব সহজে শুধু কাঠের হাতলে একটু চাপ দিয়েই তৈরি করা যায় সুন্দর গোল রুটি। অবাক করা ব্যাপার হলো, রুটির খামির যেভাবেই দিন না কেন, আপনার রুটি গোল হবেই এর বিশেষ নকশার কারণে। আর যেকোনো বয়সের মানুষ এই যন্ত্রের সাহায্যে অতি দ্রুত রুটি বানাতে পারে।

বাণিজ্য মেলায় লাইবা রুটি মেকারের স্টল। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
বাণিজ্য মেলায় লাইবা রুটি মেকারের স্টল। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

লাইবা রুটি মেকার এবার অংশ নিয়েছে বাণিজ্য মেলায়। ছোট পরিসরে স্টল নম্বর ৯০-এ সাজানো হয়েছে রুটি মেকারের পসরা। মেলায় সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে পরিবেশবান্ধব রুটি মেকার।

হ‌ুমায়ূন কবির বলেন, আমাদের মা-বোনদের কষ্টের কথা মাথায় রেখেই এ রুটি মেকার বানিয়েছি। কয়েক বছর ধরে ভালো সাড়া পেয়েছি। মানুষ আমার উদ্ভাবনকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘বাজারে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী লাইবা রুটি মেকার নাম দিয়ে নকল রুটি মেকার এনেছে এবং বাজারজাত করছে। এর ফলে লাইবা রুটি মেকারের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে এবং ক্রেতাসাধারণ প্রতারিত হচ্ছেন।

এ ছাড়া ওয়েব সাইট www.rutimaker.com, ফেসবুক পেজ <https://www.facebook.com/laaibahrutimakerfactory> এবং ইউটিউবে <https://www.youtube.com/watch?v=_r6VP-6NtL8> ভিজিট করতে পারেন। বিজ্ঞপ্তি।