জাতীয় গ্রিডে আরও ২৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ

>
দিনাজপুরের পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে নবনির্মিত ২৭৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার তৃতীয় ইউনিটের একাংশ। গতকাল তোলা ছবি।  প্রথম আলো
দিনাজপুরের পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে নবনির্মিত ২৭৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার তৃতীয় ইউনিটের একাংশ। গতকাল তোলা ছবি। প্রথম আলো

পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া নবনির্মিত তৃতীয় ইউনিট থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু। এতে উত্তরাঞ্চলে বিদ্যুতের চাহিদা মিটবে।

দিনাজপুরের পার্বতীপুরের কয়লাভিত্তিক বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে নবনির্মিত ২৭৫ মেগাওয়াট উৎপাদনক্ষমতার তৃতীয় ইউনিট থেকে বিদ্যুতের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে গতকাল রোববার দুপুর পর্যন্ত এই ইউনিট থেকে ২৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হয়।
এতে দেশের উত্তরাঞ্চলে অনাকাঙ্ক্ষিত লোডশেডিং বন্ধ হয়ে ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা মিটবে এবং শিল্প-কলকারখানা ও কৃষি খাতে বিদ্যুতের সরবরাহ স্বাভাবিক পর্যায়ে উন্নীত হবে বলে আশা করছে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ।
এর আগে ইউনিটটির নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার নির্ধারিত সময়ের প্রায় আট মাস আগে গত ১০ নভেম্বর এটি থেকে পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা হয়। এভাবে ৫০ দিন চলার পর নির্দিষ্ট সময়ের ছয় মাস আগে গতকাল এ ইউনিট থেকে বিদ্যুতের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হলো।
২০১৫ সালের ১৫ জুলাই চীনা জয়েন্ট ভেনচার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হারবিন ইলেকট্রিক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, সিসিসি ইঞ্জিনিয়ারিং ও পিআর চায়না বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার এই তৃতীয় ইউনিট প্রকল্পের কাজ শুরু করে। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী এ বছরের ১৪ জুলাই ইউনিটটির নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ২৮ কোটি মার্কিন ডলার।
এই প্রকল্পের আগে ২০০৬ সালে চীনা কারিগরি সহায়তায় পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির পাশে দেশীয় ও বৈদেশিক মুদ্রা মিলে ১ হাজার ৬৩৪ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে বড়পুকুরিয়ার কয়লাভিত্তিক ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি ইউনিট (মোট ২৫০ মেগাওয়াট) স্থাপন করা হয়। ওই দুটি ইউনিটের পাশেই নির্মাণ করা হলো সেখানকার কয়লাভিত্তিক ২৭৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার নতুন ইউনিট।
নতুন ইউনিটে বিদ্যুতের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর বিষয়ে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, তৃতীয় ইউনিট থেকে উৎপাদিত ২৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রতিদিন জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে। ফলে উত্তরাঞ্চলের শিল্প-কলকারখানা ও কৃষি খাতে বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ সম্ভব হবে এবং এ অঞ্চলে লোডশেডিংয়ের মাত্রা কমবে।