হোন্ডার কারখানায় উৎপাদন এ বছরই

চলতি বছরের মধ্যেই বাজারে আসছে বাংলাদেশে তৈরি জাপানের বিশ্বখ্যাত হোন্ডা ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল। বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশন (বিএসইসি) এবং জাপানের হোন্ডা মোটরস কোম্পানির যৌথ বিনিয়োগে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড এ মোটরসাইকেল বাজারজাত করবে। এ লক্ষ্যে ইতিমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেডের এক প্রতিনিধিদল গতকাল মঙ্গলবার শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর সঙ্গে বৈঠককালে এ তথ্য জানায়। শিল্প মন্ত্রণালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে শিল্পসচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, হোন্ডার চিফ অপারেটিং অফিসার নোরিয়াকি আবে, এশিয়া ও ওশেনিয়া অঞ্চলের পরিচালক আকিরা মুরায়ামা, বাংলাদেশ হোন্ডার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইউচিরো ইশি, হেড অব ফাইন্যান্স শাহ মোহাম্মদ আশিকুর রহমানসহ কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে মোটরসাইকেল-শিল্পের বিকাশে অব্যাহত নীতিসহায়তা প্রদান এবং স্থানীয় পর্যায়ে খুচরা যন্ত্রাংশ উৎপাদনের বিষয়ে আলোচনা হয়। শিল্প মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানিয়েছে।

বৈঠকে হোন্ডার কর্মকর্তারা বলেন, বর্তমান সরকারের নীতিসহায়তার ফলে বাংলাদেশে মোটরসাইকেল-শিল্প দ্রুত বিকশিত হচ্ছে। গত অর্থবছরের বাজেটে এ খাতসংশ্লিষ্ট সম্পূরক শুল্ক ৪৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এর ফলে একই সঙ্গে মোটরসাইকেল বিক্রি শতকরা ১৫০ ভাগ এবং সরকারের রাজস্ব আয় প্রায় ৬৫০ কোটি টাকা বেড়েছে।

মোটরসাইকেল খাতে প্রবৃদ্ধির ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী বাজেটেও শুল্ক-সুবিধা বজায় রাখার তাগিদ দেন কর্মকর্তারা। একই সঙ্গে তাঁরা প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মোটরসাইকেলের নিবন্ধন ফি কমানোর দাবি জানান।

বৈঠকে শিল্পমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর শিল্পায়নের প্রতি অধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। সরকার আমদানির পরিবর্তে দেশেই উৎপাদনশীল শিল্প খাত গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় নীতিসহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। মোটরসাইকেল-শিল্পের বিকাশেও শুল্ক-সুবিধাসহ অন্যান্য নীতিসহায়তা অব্যাহত থাকবে।

হোন্ডা মোটরসাইকেলে ব্যবহৃত খুচরা যন্ত্রাংশ যৌথ বিনিয়োগে কিংবা শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কারখানাগুলোতে প্রস্তুত করা হবে। এর ফলে দেশেই শক্তিশালী সংযোগ শিল্প ও কর্মসংস্থানের সুযোগ গড়ে উঠবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন, যা এই শিল্পকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।