চালের পর তেল ও রসুনের দাম বাড়তি

>
  • রাজধানীতে ভারতীয় মোটা চাল কেজিপ্রতি ৪৪ টাকা
  • দেশি মোটা চাল ৪৫-৪৬ টাকা।
  • মাঝারি মানের ভারতীয় চাল কেজিপ্রতি ৪৬-৪৮ টাকা।
  • দেশি মাঝারি মানের চাল কেজি ৫২-৫৪ টাকা।
  • দেশি সরু মিনিকেট চাল কেজিপ্রতি মানভেদে ৬০-৬৩ টাকা।
  • ভারতীয় মিনিকেট ৫৮ টাকা।
  • বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ২ টাকা বেড়েছে।
  • রসুনের দর বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা।

রাজধানীর পাইকারি বাজারে গত সপ্তাহের শুরুতে চালের দাম বেড়ে যাওয়ার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। মুদি দোকানে গিয়ে সাধারণ মানুষকে এখন কেজিপ্রতি ২ থেকে ৩ টাকা বাড়তি দিয়ে চাল কিনতে হচ্ছে। ভোজ্যতেল ও রসুনের দামও নতুন করে কিছুটা বেড়েছে। অবশ্য সবজির দাম আগের তুলনায় এখন কম।

রাজধানীর বাজারে এখন ভারতীয় মোটা চাল কেজিপ্রতি ৪৪ ও দেশি মোটা চাল ৪৫-৪৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি মানের ভারতীয় চালের দর কেজিপ্রতি ৪৬-৪৮ টাকা। আর দেশি মাঝারি মানের চালের কেজি ৫২-৫৪ টাকা। বিক্রেতারা দেশি সরু মিনিকেট চালের কেজিপ্রতি দর মানভেদে ৬০-৬৩ টাকা ও ভারতীয় মিনিকেট ৫৮ টাকা দরে বিক্রি করছেন।

পশ্চিম আগারগাঁও কাঁচাবাজারের মুদি দোকানি আনোয়ার হোসেন গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, ভারতীয় মোটা চাল কেনা পড়ছে কেজিপ্রতি ৪০ টাকা দরে। এর সঙ্গে পরিবহন ও অন্যান্য খরচ যোগ করে ৪৪ টাকার কমে বিক্রি করা যায় না। তিনি বলেন, কয়েক দিনে সব ধরনের চালের দামই বেড়েছে।

ওই ব্যবসায়ী আরও জানান, গেল সপ্তাহে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দামও লিটারে ২ টাকা বেড়েছে। এ ছাড়া রসুনের দর বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা। তাঁর দোকানে প্রতি কেজি চীনা রসুন ১০০ ও দেশি রসুন ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল।

বোতলজাত সয়াবিন তেলে খুচরা ব্যবসায়ীদের জন্য কোম্পানিগুলোর যে ছাড় ছিল, তা তুলে নেওয়া হয়েছে বলে জানান কারওয়ান বাজারের বিক্রেতারা। একটি কোম্পানি প্রতি পাঁচ লিটারের বোতলের ১২টি কিনলে একটি এক লিটার তেল বিনা মূল্যে দিত। তাও দিচ্ছে না। সব মিলিয়ে প্রতি লিটার তেলে এখন বাড়তি ২ টাকা দিতে হচ্ছে খুচরা ব্যবসায়ীদের। অবশ্য মোড়কের লেখা সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য বাড়ায়নি কোম্পানিগুলো।

একটি ব্র্যান্ডের তেলের পাঁচ লিটারের বোতলের মোড়কে লেখা সর্বোচ্চ দর ৫৪০ টাকা, যা এত দিন ৫২০ টাকায় বিক্রি করতেন কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীরা। এখন ৫৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোলা তেলের দামও প্রতি লিটার ১ থেকে ২ টাকা বেড়েছে। ওই বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন ৮২ টাকা, পাম সুপার ৭৮ টাকা ও পাম তেল ৭৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী আবুল হাশেম বলেন, সরবরাহ কম থাকায় সয়াবিন তেলের দাম মণপ্রতি (৩৭ দশমিক ৩২ কেজি) ৫০ টাকার মতো বেড়েছিল, এখন তা আবার কমছে।

বাজারে এখন আলু সবচেয়ে সস্তা। প্রতি কেজি আলু ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। টমেটোও একই দামে কিনতে পারছেন ক্রেতারা। সব মিলিয়ে সবজির দর কম। বেশির ভাগ সবজি প্রতি কেজি ২৫-৪০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি ও ভারতীয় পেঁয়াজ মানভেদে ৪৫ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ভারতীয় পেঁয়াজ ৫৫-৬০ টাকা ও দেশি বড় পেঁয়াজ ৫৫ ও ছোট পেঁয়াজ ৪৫ টাকা চাচ্ছেন বিক্রেতারা।
জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম বলেন, পেঁয়াজের দাম এর চেয়ে কমার সুযোগ নেই। ভারতে দর বেশি।