আস্থা ফেরাতে দ্রুত নীতিগত পরিবর্তন প্রয়োজন

পুঁজিবাজারে অস্থিরতা কাটছেই না। বর্তমানে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার যে ফাটল ধরেছে, তা ফিরিয়ে আনতে দ্রুত নীতিগত পরিবর্তন আনতে হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস আজ রোববার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের বড় ধরনের দরপতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭৪ দশমিক ৮৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫৮৩২ পয়েন্টে। এ নিয়ে টানা ছয় কার্যদিবসে পুঁজিবাজারে সূচক কমেছে ২৭০ পয়েন্ট এবং গত ছয় মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে আছে ডিএসইএক্স। এর আগে গত বছরের ২০ আগস্ট ডিএসইএক্স সূচক কমে দাঁড়ায় ৫৮১৯ পয়েন্টে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ হেলাল প্রথম আলোকে বলেন, আইসিবির শেয়ার বিক্রি থেকে শুরু করে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে পুঁজিবাজারে দর পড়তে দেখা গিয়েছিল। পরে কিছু সময় একটা জায়গায় ঘোরাফেরা করছিল সূচক। বিনিয়োগকারীরা ভাবছিল নীতিগত একটি পরিবর্তন আসবে। তবে দৃশ্যমান কোনো নীতিগত পরিবর্তন আসেনি। এর মধ্যে স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার নিয়ে একটা ধূম্রজাল তৈরি হওয়ায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাজারে।

বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে—এমন প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ হেলাল বলেন, আস্থার যে ফাটল ধরেছে সেটা কাটাতে দ্রুত দৃশ্যমান নীতিগত পরিবর্তন দরকার; যা বাজারে তারল্য বাড়াবে। এ ছাড়া চাহিদার কারণে বাজার বাড়তে থাকলে আবারও আস্থা ফিরে আসবে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে।

গত কার্যদিবসের তুলনায় আজ লেনদেন সামান্য বাড়লেও তা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশ কম। আজ ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৮৪ কোটি টাকার। গত কার্যদিবস লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২৮৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকার। আজ হাতবদল হওয়া শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৬৭টির, কমেছে ২৪৩টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩টির।

আজ লেনদেনের শীর্ষে ছিল যে কোম্পানিগুলো স্কয়ার ফার্মা, ইউনিক হোটেল, ইফাদ অটোজ, বেক্সিমকো ফার্মা, এসিআই, ফার্মা এইড, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল, আইডিএলসি, লিগ্যাসি ফুটওয়্যার ও ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড।

অপর দিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচক কমেছে আজ। সার্বিক সূচক কমেছে ২৪৩ পয়েন্ট। মোট লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ২০ লাখ টাকা।