সব রপ্তানিকারক সমান সুবিধা পাবে: এনবিআর

মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া
মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া

আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে রপ্তানি খাতে সবাইকে সমান সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় রাজস্ব ভবনের সভাকক্ষে তৈরি পোশাক, বস্ত্র, চামড়া, প্লাস্টিক, চিংড়িসহ বিভিন্ন রপ্তানি খাতের সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘রপ্তানির জন্য সবাইকে সমান সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করব। কারণ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমাদের পণ্য সামগ্রী দেশের বাইরে যথেষ্ট প্রতিযোগিতায় পড়তে হবে। তাই তাঁদের প্রণোদনা দিতে হবে। একই সঙ্গে নতুন নতুন খাতের রপ্তানি আয় বাড়াতে হবে। রপ্তানি প্রবৃদ্ধি না হলে মধ্যআয়ের দেশ হিসেবে টিকে থাকা মুশকিল হবে।’ তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের জন্য যা যা করা দরকার, আমরা সেই চেষ্টা করব। সরকারের রাজস্ব বাড়াতে কর জালের বাইরে থাকা ব্যবসায়ীদের করের আওতায় আনা হবে।’

প্রাক-বাজেট আলোচনায় তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান আগামী তিন অর্থবছরের জন্য পোশাক খাত থেকে উৎসে কর সম্পূর্ণভাবে কর্তন প্রত্যাহার, করপোরেট করহার কমিয়ে ১০ শতাংশ, গ্যাস-বিদ্যুৎ ও পানি ব্যবহারে ভ্যাট প্রত্যাহারসহ কয়েকটি দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন। একই সঙ্গে তিনি এসব সুবিধা সব রপ্তানি খাতের জন্য প্রযোজ্য করার আহ্বান জানান।

বিজিএমইএর সভাপতি বলেন, রপ্তানি খাতে উৎসে কর থাকা উচিত না। কারণ ৩০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানিতে মাত্র ২০০০-২৫০০ কোটি টাকা উৎসে কর বাবদ রাজস্ব পায় সরকার। যা চার লাখ কোটি টাকার বাজেটে খুবই নগণ্য। তাই উৎসে কর আদায়ে গুরুত্ব না দিয়ে কর্মসংস্থানে জোর দেওয়া প্রয়োজন। এনবিআর চেয়ারম্যানের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘২০০০-২৫০০ কোটি টাকা মওকুফ করে দেন। আমরা না হয় এই টাকা চেয়ে নিলাম।’

বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বন্ড ব্যবস্থাকে পুরোপুরি অনলাইনে করার দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘যাদের কারখানা বন্ধ থাকার পরও কাপড় আমদানি করছে, তাঁদের বন্ড লাইসেন্স বাতিল করে দিন। আমরাও কারখানার অস্তিত্ব নেই এমন সদস্যপদ বাতিল করে দেব।’