বাজেটে অনলাইন কেনাকাটায় কর নেই: এনবিআর চেয়ারম্যান

২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ৮ জুন, ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন। ছবি: সাজিদ হোসেন
২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ৮ জুন, ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন। ছবি: সাজিদ হোসেন

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ব্যাংক সংস্কারে কোনো কমিশন হচ্ছে না। পরবর্তী সরকারের কাছে এ-সংক্রান্ত কাগজপত্র দেওয়া হবে। এদিকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান (এনবিআর) বলেছেন, অনলাইন কেনাকাটায় কর নেই—এটা বাজেট বক্তৃতায় ভুল ছাপা হয়ে থাকতে পারে। তবে গুগল ও ইউটিউবে কর বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের মুখোমুখি হয়ে এ কথা জানান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। আজ শুক্রবার বেলা তিনটার দিকে রাজধানী ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট পেশ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী।

সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয় ব্যাংক কমিশন গঠনের ব্যাপারে। এর আগে ব্যাংক কমিশন করার কথা তিনি একাধিকবার বলেছেন। বাজেটের পরই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন। বিষয়টি তুলে ধরলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ব্যাংক সংস্কারে কোনো কমিশন করছি না। সব কাগজপত্র তৈরি করছিলাম। এটা পরবর্তী সরকারের কাছে দিয়ে যাব। তারা এটা করবে।’
সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমার সব বাজেটই নির্বাচনী বাজেট। আমি একটি দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য, তাই বাজেট নির্বাচনী হবে।’

২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ৮ জুন, ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন। ছবি: সাজিদ হোসেন
২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ৮ জুন, ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন। ছবি: সাজিদ হোসেন

সংবাদ সম্মেলনে এনবিআরের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, অনলাইন কেনাকাটায় কর নেই—এটা বাজেট বক্তৃতায় ভুল ছাপা হয়ে থাকতে পারে। গুগল ও ইউটিউবে কর বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এবং প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মসিউর রহমান, পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, অর্থসচিব মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, ইআরডি সচিব কাজী শফিকুল আজম, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য শামসুল আলম প্রমুখ ছিলেন।