আগামী বছর থেকে বাণিজ্য মেলা পূর্বাচলে

শেরেবাংলা নগরের পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: ফোকাস বাংলা
শেরেবাংলা নগরের পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: ফোকাস বাংলা

রাজধানীর অদূরে পূর্বাচল নতুন শহরে আন্তর্জাতিক মানের নতুন প্রদর্শনী কেন্দ্র হচ্ছে। এর নাম হবে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্র। এ জন্য ১ হাজার ৩০৩ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এই প্রদর্শনী কেন্দ্রেই ২০১৯ সাল থেকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হবে। 

আজ মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান তথ্য জানান। সভায় প্রকল্পটি সংশোধন করে পাস করা হয়। মূল প্রকল্পের ব্যয় ছিল ৭৯৬ কোটি টাকা। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩০৩ কোটি টাকা। মেয়াদও আড়াই বছর বাড়ানো হয়েছে।
একনেক সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেরেবাংলা নগরের পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সংশোধনের পর এ প্রকল্পের মেয়াদ ২০১৫ সাল থেকে শুরু হয়ে ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত। এর মানে ২০২০ সালের মধ্যে প্রদর্শনী কেন্দ্র নির্মাণের কাজ শেষ হবে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এই প্রকল্পে চীন সরকার ৬২৫ কোটি টাকা অনুদান হিসেবে দেবে।
একনেক সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান। প্রকল্প সম্পর্কে এম এ মান্নান বলেন, ‘যদিও প্রকল্পের মেয়াদ ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে, তবে এর আগে অর্থাৎ ২০১৯ সালের মধ্যেই প্রদর্শনী কেন্দ্র নির্মাণ করে দিতে সম্মত হয়েছে চীন। সব অবকাঠামো চীনে নির্মিত হবে, পূর্বাচলে শুধু বসানো হবে। ফলে দ্রুত সময়েই এটা নির্মিত হবে বলে আমরা আশাবাদী।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দ্রুত সময়ে প্রদর্শনী কেন্দ্র বা এক্সিবিশন সেন্টার নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন। চীন সরকারও আমাদের আশ্বাস দিয়েছে যে ২০১৯ সালের মধ্যেই এটি নির্মিত হবে।’
প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধি সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, নতুন নতুন স্থাপনা নির্মাণ, সেন্টারের পরিসর বৃদ্ধি ও রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কারণে একনেক সভায় প্রকল্পের ব্যয় বাড়ানো হয়েছে।
আজকের একনেক সভায় এ প্রকল্পটিসহ মোট ছয়টি প্রকল্প পাস করা হয়। এতে মোট খরচ হবে ২ হাজার ৯২০ কোটি টাকা। এর মধ্যে দেশজ উৎস বা স্থানীয় মুদ্রায় দেওয়া হবে ২ হাজার ৭০ কোটি টাকা। আর প্রকল্প সাহায্য হিসেবে পাওয়া যাবে ৫২৫ কোটি টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলো দেবে ২২৫ কোটি টাকা। একনেকে অনুমোদিত ছয়টি প্রকল্পের মধ্যে চারটি নতুন প্রকল্প।
একনেকে অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলো হলো ২৫২ কোটি টাকার মাইজদী-রাজগঞ্জ-ছয়ানী-বসুরহাট-চন্দ্রগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ককে যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীত করা; ২১৭ কোটি টাকার পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) আওতায় খানজাহান আলী বিমানবন্দর নির্মাণ প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের জন্য লিংক প্রকল্প; ১৭০ কোটি টাকার বাংলাদেশের ৩৭টি জেলার সার্কিট হাউসের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ; ৬৬০ কোটি টাকার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন; ৩১৭ কোটি টাকার সারা দেশের পুরোনো খাদ্য গুদাম ও আনুষঙ্গিক সুবিধাদির মেরামত এবং নতুন অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প।