ডিসেম্বরের পর অ্যালায়েন্স থাকবে না: মরিয়ার্টি

ঢাকায় নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টি। ফাইল ছবি
ঢাকায় নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টি। ফাইল ছবি

উত্তর আমেরিকার ক্রেতাদের জোট অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার সেফটি আগামী ডিসেম্বরের পর বাংলাদেশে কার্যক্রম চালাবে না। এই সময়ের মধ্যে অ্যালায়েন্সের সদস্য কারখানার সব ধরনের সংস্কারকাজ শেষ হয়ে যাবে।

রাজধানীর গুলশানে ওয়েস্টিন হোটেলে আজ রোববার বিকেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানিয়েছেন অ্যালায়েন্সের নির্বাহী পরিচালক ও ঢাকায় নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টি। তিনি বলেন, ‘ডিসেম্বরের পর অ্যালায়েন্স আর বাড়তি সময় চাইবে না। এই সময়ের মধ্যে জোটের প্রাথমিক দায়িত্ব সম্পন্ন হয়ে যাবে। তবে অ্যালায়েন্সের ব্র্যান্ড ও ক্রেতাপ্রতিষ্ঠান চায় যেসব কারখানার সংস্কারকাজ শেষ হয়েছে, তা কোনো সংস্থার অধীনে তদারকি হয়। ব্র্যান্ডরা চায় সংস্কারকাজের ধারাবাহিকতা যেন বজায় থাকে। এ জন্য সরকার ও মালিকপক্ষের সঙ্গে আমরা কথা বলছি।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অ্যালায়েন্সের বোর্ড সদস্য বস্ত্রকল মালিকদের সংগঠন বিটিএমএর সভাপতি তপন চৌধুরী, ভিএফ করপোরেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট শন কেডি, ব্র্যাক ইউকের চেয়ার শিমন সুলতানা, ওয়ালমার্টের প্রতিনিধি মারকো রেইজ প্রমুখ।

গত সপ্তাহে রাজধানীর একটি হোটেলে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ও শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, ডিসেম্বরের পর ইউরোপীয় ক্রেতাদের জোট অ্যাকর্ড ও উত্তর আমেরিকার ক্রেতাদের জোট অ্যালায়েন্সের মেয়াদ আগামী ডিসেম্বরের পর আর বাড়ানো হবে না।

২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসের পর বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের শ্রমিক নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তখন কর্মপরিবেশ উন্নয়নে পাঁচ বছরের জন্য ইউরোপীয় ক্রেতাদের জোট অ্যাকর্ড ও উত্তর আমেরিকার ক্রেতাদের জোট অ্যালায়েন্স গঠিত হয়। জোট দুটি ২ হাজার ৫৫৯ পোশাক কারখানা পরিদর্শন করে। এর বাইরে ১ হাজার ৫৪৯ কারখানার পরিদর্শন করা হয় জাতীয় ত্রিপক্ষীয় কর্মপরিকল্পনার (এনটিএপি) অধীনে। এনটিএপির কারখানার সংস্কারকাজ তদারকি করার জন্য আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সহায়তায় আরসিসি গঠিত হয়।

গত মে মাসে অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের মেয়াদ শেষ হয়। এর আগেই তিন বছর মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিল অ্যাকর্ড। গত ১০ মে বিজিএমইএ ও অ্যাকর্ডের স্টিয়ারিং কমিটি আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ সম্মেলন করে জানায়, জোটের মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই সময়ের মধ্যে আরসিসি সক্ষমতা অর্জন না করলে ছয় মাস করে অ্যাকর্ডের মেয়াদ বাড়বে। আরসিসি সক্ষম হয়েছে কি না, তা পর্যবেক্ষণ করার জন্য গঠিত হয়েছে টিএমসি। ৩১ মে বাণিজ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, ছয় মাসের মধ্যে অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স কার্যক্রম গোটাবে।’