মহামারির মধ্যেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে রেকর্ড

করোনা ভাইরাসের মধ্যে গত ১ ও ২ জুন প্রবাসী আয়, অনুদান ও ঋণ হিসেবে ১৬ কোটি ডলার এসেছে। এর ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলার বা ৩৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে, যা দেশের ইতিহাসে রেকর্ড।

জানা যায়, করোনাভাইরাসের মধ্যেও ঈদের মাসে প্রবাসীরা ১৫০ কোটি ৩০ লাখ ডলারের আয় পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ ১২ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকা। এর ফলে গত ১ জুন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩ হাজার ৩৪৬ কোটি ডলার, যা গতকাল বেড়ে হয় ৩ হাজার ৪২৩ কোটি ডলার।

২০১৭ সালের ২২ জুন রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ৩ হাজার ৩০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যায়। আর গতকাল তা আরও ১০০ কোটি ডলার ৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যায়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, করোনার কারণে আমদানি ব্যয় কমে গেছে। আবার রপ্তানি আয়ও কম। তবে প্রবাসী আয় আসছে, সঙ্গে ঋণ ও অনুদানও। এ কারণে রিজার্ভ বাড়ছে। তবে এটা কত দিন ধরে রাখা যাবে, তা নির্ভর করছে রপ্তানি ও প্রবাসী আয় আসার ওপর। কারণ, দেশের অর্থনীতি সচল করতে আমদানি বাড়াতেই হবে। এতে খরচ হবে ডলার। যা ব্যয় হবে রিজার্ভ থেকেই।