ইউরোপ 'নিরাপদ' ১৪ দেশের মানুষকে যেতে দেবে

করোনা মহামারির এই সময়ে ১৪টি দেশের নাগরিকদের নিরাপদ বলে মনে করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ছবি: রয়টার্স
করোনা মহামারির এই সময়ে ১৪টি দেশের নাগরিকদের নিরাপদ বলে মনে করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ছবি: রয়টার্স

করোনা মহামারির এই সময়ে ১৪টি দেশের নাগরিকদের নিরাপদ বলে মনে করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। কাল ১ জুলাই থেকে ১৪ দেশের নাগরিকেরা ইইউর দেশগুলোয় যেতে পারবেন। এই ১৪ দেশের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র ও চীন নেই। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

এই ১৪ দেশের তালিকায় অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাপান, মরক্কো ও দক্ষিণ আফ্রিকার নাম রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল ও চীনের নাম নেই। অবশ্য কূটনীতিকেরা বলছেন, ইইউ দেশগুলো থেকে যদি চীনে যাওয়ার চুক্তি হয়, তবে ইইউও চীনকে যুক্ত করতে প্রস্তুত রয়েছে। ইতিমধ্যে ইইউর দেশগুলোর মধ্যে সীমান্তে বাধা উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে, ফলে ইইউর নাগরিকেরা অভ্যন্তরে ভ্রমণ করতে পারছেন। তবে যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের জন্য ব্রেক্সিট চুক্তির আলোচনার অধীনে নতুন নিয়মে করা হয়েছে। চলতি বছর ৩১ ডিসেম্বর ব্রেক্সিট হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগপর্যন্ত যুক্তরাজ্যের বাসিন্দারা ইউরোপের নাগরিকের সমান মর্যাদাই পাবেন। যে কারণে সাময়িক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বেন না ব্রিটিশ নাগরিক এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যরা।

নিরাপদ দেশের নতুন যে তালিকা করা হয়েছে, সেটিতে পরে আরও পরিবর্তন আসতে পারে বলা হয়েছে। আপাতত তালিকায় রয়েছে আলজেরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জর্জিয়া, জাপান, মন্টেনেগ্রো, মরক্কো, নিউজিল্যান্ড, রুয়ান্ডা, সার্বিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, তিউনিসিয়া ও উরুগুয়ে। আনুষ্ঠানিকভাবে আজ মঙ্গলবার এই তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার কথা রয়েছে।

ইইউভুক্ত অন্তত ৫৫ শতাংশ দেশ, যাদের জনসংখ্যা ইউরোপের প্রায় ৬৫ শতাংশ, তারা এই তালিকা অনুমোদন করেছে।

তবে স্পেনের মতো অনেক দেশ এখনো দ্বিধান্বিত। কারণ, কোভিড-১৯–এর ভয়াবহতার অন্যতম শিকার হওয়ার কারণে পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চান তাঁরা। আবার পর্যটনশিল্পকেও আগের অবস্থায় চান। তবে গ্রিস ও পর্তুগালের মতো দেশগুলো, যারা পর্যটনের আয়ে চলে, তারা সব স্বাভাবিক করতে আগ্রহী।