আইসিবি এএমসিএল ১০টি মিউচুয়াল ফান্ডের ছয়টিতেই লভ্যাংশ দেয়নি

রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) সহযোগী প্রতিষ্ঠান আইসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির ব্যবস্থাপনাধীন ১০টি মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের ছয়টির বিপরীতে কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়নি।
বাকি চারটির বিপরীতে নগদ লভ্যাংশ প্রদানের ঘোষণা দেওয়া হলেও এর মধ্যে তিনটিরই লভ্যাংশের পরিমাণ আগের বছরের চেয়ে কমে গেছে। গতকাল সোমবার বিকেলে ট্রাস্ট কমিটির সভাশেষে লভ্যাংশ প্রদানের এ ঘোষণা দেওয়া হয়। আইসিবির ওয়েবসাইটে লভ্যাংশের এ খবর প্রকাশ করা হয়েছে। এ ঘোষণা আসার আগেই অবশ্য শেয়ারবাজারে দিনের লেনদেন শেষ হয়ে যায়। তবে বেশির ভাগ ফান্ডের বিপরীতে কোনো লভ্যাংশ দেওয়া না হলেও গতকাল সোমবার বাজারে অধিকাংশ ফান্ডেরই ইউনিটের দাম বেড়েছে।
লভ্যাংশ ঘোষণা করতে না পারা ও কমে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে সম্পদ ব্যবস্থাপক এ প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ একজন কর্মকর্তা জানান, শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক দরপতনের কারণে বছর শেষে তহবিলগুলো থেকে ভালো আয় আসেনি। অনেক ক্ষেত্রে তহবিলের অধীনে লাভজনক শেয়ার থাকার পরও বাজারের সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় শেয়ার বিক্রি করা হয়নি। কারণ, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে আইসিবিকে বাজারের সার্বিক বিষয়ও বিবেচনায় রাখতে হয়েছে।
আইসিবি এএমসিএল চারটি ফান্ডের বিপরীতে যে হারে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে তা হলো—আইসিবি এএমসিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড ১০০ শতাংশ, আইসিবি এএমসিএল ইসলামিক মিউচুয়াল ফান্ড ২০ শতাংশ, আইসিবি এএমসিএল ফার্স্ট এনআরবি ফান্ড ২৫ শতাংশ ও আইসিবি এএমসিএল সেকেন্ড এনআরবি মিউচুয়াল ফান্ড ১০ শতাংশ। গত বছর এ চারটি ফান্ডের বিপরীতে যথাক্রমে ১০০, ৩৬, ৩৭ ও ২৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছিল।
এবার আইসিবি এএমসিএল সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড, আইসিবি এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট মিউচুয়াল ফান্ড ওয়ান: স্কিম ওয়ান, প্রাইম ব্যাংক ফার্স্ট আইসিবি এএমসিএল মিউচুয়াল ফান্ড, ফনিক্স ফিন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, আইসিবি এএমসিএল থার্ড এনআরবি মিউচুয়াল ফান্ড এবং আইএফআইএল ইসলামিক মিউচুয়াল ফান্ড ওয়ানের বিপরীতে কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়নি। গত বছর এসব ফান্ডের মধ্যে প্রথম চারটির বিপরীতে ৫ শতাংশ করে নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছিল।
জানা গেছে, বর্তমানে আইসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির ব্যবস্থাপনাধীন মোট ১২টি ফান্ড শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত রয়েছে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি আইসিবি এএমসিএল ইউনিট ফান্ড এবং বাংলাদেশ ফান্ড ও পেনশন হোল্ডারস ইউনিট ফান্ড ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে।