ধানের কুঁড়া আমদানির শুল্ক কমাল ভারত

ভারতের একটি বাজারে ধানের কুঁড়ার স্তূপ ষ ছবি: সংগৃহীত
ভারতের একটি বাজারে ধানের কুঁড়ার স্তূপ ষ ছবি: সংগৃহীত

ধানের কুঁড়া ও খৈল আমদানিতে শুল্ক কমিয়েছে ভারত সরকার। ফলে দেশটির ব্যবসায়ীদের এ দুটি পণ্য আমদানিতে এখন থেকে কোনো শুল্ক দিতে হবে না।
ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপন বলা হয়েছে, শুল্ক কমানোর এ সিদ্ধান্ত ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে।
শুল্ক কমানোর কারণে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মতো প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে ভারতের ধানের কুঁড়া আমদানি বাড়তে পারে ধারণা করা হচ্ছে।
ভারতীয় দৈনিক বিজনেস লাইন গতকাল সোমবার এ খবর প্রকাশ করেছে।
প্রসঙ্গত, ধানের কুঁড়া ও খৈল আমদানিতে আগে ১৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হতো আমদানিকারকদের।
সলভেন্ট এক্সট্রেক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার (এসইএআই) নির্বাহী পরিচালক বি ভি মেহতা বলেছেন, প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টন ধানের কুঁড়া আমদানি করা হতে পারে। তবে তা নির্ভর করছে দামের ওপর।
সলভেন্ট এক্সট্রেকশন পদ্ধতি ব্যবহার করেই ধানের কুঁড়া থেকে তৈরি করা হয়। ধানের কুঁড়ায় ১০ থেকে ২৫ শতাংশ তেলের উপাদান থাকে। তেল বের করে ফেলার পর ধানের কুঁড়ার যে অবশিষ্টাংশ থাকে, সেটা দিয়ে খৈল তৈরি হয়। এ খৈল গবাদিপশুর খাদ্য হিসেবে ব্যবহূত হয়।
১৫ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপিত থাকায় এত দিন ভারতে খুব বেশি ধানের কুঁড়া আমদানি হতো না। ভারতের ধানের কুঁড়া থেকে তৈরি তেলের চাহিদা বাড়তে থাকায় তা মোকাবিলায় সলভেন্ট এক্সট্রেক্টরস অ্যাসোসিয়েশন সম্প্রতি সরকারের কাছে শুল্ক কমানোর দাবি জানায়।
ভারতে প্রতিবছর নয় লাখ টন ধানের কুঁড়ার তেল উৎপাদিত হয়। এর মধ্যে তিন লাখ টন তেল সরাসরি ভোজ্যতেল হিসেবে ব্যবহূত হয়। বাকি তেলটা অন্যান্য ভোজ্যতেলের সঙ্গে মেশানো হয়।