বিদেশফেরত শ্রমিকদের জন্য চাকরি মেলা

বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর চার লাখের বেশি মানুষ বৈধভাবে বিভিন্ন দেশে কাজ করতে যান। তাঁদের একটি বড় অংশ মেয়াদ শেষে দেশে ফিরে আসেন। বিদেশফেরত এমন কর্মীদের দেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ করে দিতে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো দিনব্যাপী এক ‘চাকরি মেলা’।
বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশন (বিইএফ) গতকাল রোববার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এই চাকরি মেলার আয়োজন করে। আয়োজকেরা জানান, দেশে প্রথমবারের মতো বিদেশফেরত কর্মীদের চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করতে এমন মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
মেলায় তৈরি পোশাক, নির্মাণ, চামড়াসহ কয়েকটি খাতের দেশি-বিদেশি ২০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
মেলাটির উদ্বোধন করেন বিইএফের সহসভাপতি সাবরিনা ইসলাম। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় ৮০ লাখ বাংলাদেশি রয়েছেন। চাকরির মেয়াদ শেষ হলে এঁদের অনেকেই দেশে ফিরে আসেন। ফেরত আসা এসব কর্মীরা বিদেশে আন্তর্জাতিকমানের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা অর্জন করে থাকেন। তাঁদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজে লাগানো গেলে দেশে শিল্পের সম্প্রসারণ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে তাঁরা বড় ভূমিকা রাখতে পারবেন। এই চিন্তা থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিদেশফেরত কর্মীদের চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে বিইএফ সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করবে।’
মেলা ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন স্টলে চাকরি-প্রত্যাশীরা ঘুরে ঘুরে জীবনবৃত্তান্ত জমা দিচ্ছেন, কেউ আবার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য জেনে নিচ্ছেন। কর্মীদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে এসব প্রতিষ্ঠানে চাকরির ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান আয়োজকেরা।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি শ্রীনিবাস রেড্ডি বলেন, বিদেশ ফেরত শ্রমিকদের দক্ষতাকে আরও ভালোভাবে কাজে লাগাতে একটি ব্যবস্থা গড়ে তোলা দরকার।
শ্রীনিবাস রেড্ডি বলেন, যাঁরা বিদেশে যাচ্ছেন তাঁদের ভালোভাবে ফিরে আসাটাও জরুরি। তাঁর মতে, শ্রমিকেরা কোন দেশে যাচ্ছেন, কী কাজ পাবেন তা জেনে নেওয়া উচিত।
মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিইএফের সাবেক সভাপতি ও আইএলওর সদস্য কামরান টি রহমান, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিল্স) নির্বাহী কমিটির সম্পাদক ওয়াজেদুল ইসলাম খান, এনসিসিডব্লিউইর সভাপতি আবদুল মুকিত খান প্রমুখ।