শীর্ষ ধনীরা কে কত পুঁজি হারালেন

.
.

গেল সোমবারকে বহুদিন মনে রাখবে বিশ্ব অর্থনীতি। ১৯৮৭ সালের ১৯ অক্টোবরও ছিল সোমবার। ওই দিন বিশ্ব পুঁজিবাজারে ধস নামে, যা সামলাতে অনেক দিন লেগেছিল। ওই সোমবারকে বলা হয় ‘ব্ল্যাক মানডে’। আবার সেই সোমবারকে পাওয়া গেল ২৪ আগস্ট। এই দিনও ধস নামে বিশ্ব পুঁজিবাজারে। এতে আরেক কালো সোমবার দেখল বিশ্ব অর্থনীতি।
পুঁজিবাজারের ধস মানেই অসংখ্য ছোট-বড় বিনিয়োগকারীর পুঁজি হারানো। তবে ছোটদের খবর তেমন কেউ রা রাখলেও বড়দের খবর ঠিকই রাখছে সবাই। এই কাজে বরাবরই এগিয়ে অর্থনীতি-সংক্রান্ত বার্তা সংস্থা ব্লুমবার্গ। তারা শীর্ষ ধনীদের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পাঁচজনের পুঁজি হারানোর তথ্য প্রকাশ করেছে।
এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিটি হলেন চীনের ওয়াং জিয়ানলিন। তিনি এক দিনে হারিয়েছেন ৫০৬ কোটি ডলার। এবারের ধসটি শুরু হয় চীন থেকে। আর ক্ষতিও সবচেয়ে বেশি চীনের শীর্ষ ধনীর। ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার সূচক অনুযায়ী, ওয়াং জিয়ানলিন হংকংয়ে তালিকাভুক্ত ডালিয়ান ওয়ান্ডা কমার্শিয়াল প্রপার্টিজ কোম্পানি থেকে পুঁজিবাজারে হারিয়েছেন ২০০ কোটি ডলার এবং শেনজেনে তালিকাভুক্ত ওয়ান্ডা সিনেমা থেকে হারিয়েছেন ১০০ কোটি ডলার।
এরপরেই এক দিনের ধসে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের তালিকায় আছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। তিনি এবারের কালো সোমবারে হারিয়েছেন ৩২০ কোটি ডলার।
ওয়ারেন বাফেটকে বলা হয় বিনিয়োগগুরু। বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত গ্রহণে তাঁর পরামর্শকেই সবচেয়ে বেশি অনুসরণ করা হয়। কিন্তু এবার নিজেকে রক্ষা করতে পারলেন না তিনি। ‘ব্ল্যাক মানডে’তে তিনি হারিয়েছেন ২০০ কোটি ডলার।
বিশ্বের চতুর্থ শীর্ষ ধনী কার্লোস স্লিমকে বলা হয় মেক্সিকোর ওয়ারেন বাফেট। ২৪ আগস্ট, এক দিনেই তিনি হারিয়েছেন ১৬০ কোটি ডলার।
ফোর্বস-এর তালিকায় এখন বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী স্পেনের আমানসিও ওর্তেগা গাওনা। ইনডেক্স ফ্যাশন গ্রুপের চেয়ারম্যান তিনি। জারা চেইন শপ এই গ্রুপের প্রতিষ্ঠান। এবার এক দিনেই তিনি খুইয়েছেন ১৫০ কোটি ডলার।