এসএসসিতে গতবারের ফলকে ছাপিয়ে গেল কুমিল্লা বোর্ড

এবারের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ও জিপিএ-৫ বেড়েছে। গতবারের তুলনায় এবার সব সূচকেই ফল ভালো হয়েছে।

পাসের হার গতবারের তুলনায় বেড়েছে ২১ দশমিক ৩৭ শতাংশ। জিপিএ-৫ বেড়েছে ২ হাজার ৪১৫। পাসের হার ও জিপিএ-৫–এ ছেলেরা এগিয়ে।

বিজ্ঞানে ছেলেরা পাসের হার ও জিপিএ-৫–এ এগিয়ে রয়েছে। ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগে মেয়েরা পাসের হারে ও জিপিএ-৫–এ এগিয়ে। শূন্যভাগ পাস করা স্কুলের সংখ্যা নেই। শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে।

কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ বছর কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধিভুক্ত ছয় জেলার ১ হাজার ৭০৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ১ লাখ ৮২ হাজার ৭১১ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৮৯৭ জন। এর মধ্যে ছেলে ৬৬ হাজার ৩৭ জন, মেয়ে ৮০ হাজার ৮৬০ জন। পাসের হার ৮০ দশমিক শূন্য ৪০। ছেলেদের পাসের হার ৮১ দশমিক ২৯, মেয়েদের পাসের হার ৭৯ দশমিক ৬৯। এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ হাজার ৮৬৫ জন। এর মধ্যে ছেলে ৩ হাজার ৪৮৬ জন, মেয়ে ৩ হাজার ৩৭৯ জন।

এ বছর বিজ্ঞান বিভাগে ৫৪ হাজার ৮৭৯ জন পরীক্ষা দিয়ে কৃতকার্য হয় ৫১ হাজার ৭৯৫ জন। পাসের হার ৯৪ দশমিক ৩৮। এতে ছেলেদের পাসের হার ৯৪ দশমিক ৫২, মেয়েদের পাসের হার ৯৪ দশমিক ২৩। বিজ্ঞানে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ হাজার ৬৪৫ জন। এর মধ্যে ছেলে ৩ হাজার ৪৩২ জন, মেয়ে ৩ হাজার ২১৩ জন।

মানবিক বিভাগে ৫১ হাজার ৭৭৭ জন পরীক্ষা দিয়ে কৃতকার্য হয় ৩৫ হাজার ১৩১ জন। পাসের হার ৬৭ দশমিক ৮৫। ছেলেদের পাসের হার ৬৫ দশমিক ৫২, মেয়েদের পাসের হার ৬৮ দশমিক ৫২। মানবিকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬২ জন। এর মধ্যে ১১ জন ছেলে, ৫১ জন মেয়ে।

ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ৭৬ হাজার ৫৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে কৃতকার্য হয় ৫৯ হাজার ৯৭১ জন। পাসের হার ৭৮ দশমিক ৮৫। ছেলেদের পাসের হার ৭৬ দশমিক ৭৯, মেয়েদের পাসের হার ৮১ দশমিক ৩৬। ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫৮ জন। এর মধ্যে ৪৩ জন ছেলে, ১১৫ জন মেয়ে।

কুমিল্লা বোর্ডের উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (মাধ্যমিক) মো. শহিদুল ইসলাম জানান, নির্বাচনী পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণদের সুযোগ না দেওয়া, শিক্ষার মান নিয়ে বোর্ডের মতবিনিময় সভার কারণে ফল ভালো হয়েছে। সব মহল এবার সচেতন হওয়ায় পাসের হার ও জিপিএ–৫ বেড়েছে। শূন্যভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই। এবার শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠান ৭৪টি। গত বছর এ বোর্ডের পাসের হার ছিল ৫৯ দশমিক শূন্য ৩। জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৪ হাজার ৪৫০ জন। শূন্যভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠান ছিল দুটি। শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল মাত্র ১৪টি।

শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা
এ বছর কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ৭৪ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষার্থী কৃতকার্য হয়েছে। এর আগে ২০১৭ সালে ১৪টি, ২০১৬ সালে ১১৯টি, ২০১৫ সালে ১৭৬টি, ২০১৪ সালে ১৬৭টি, ২০১৩ সালে ২৭৫টি, ২০১২ সালে ১৩০টি, ২০১১ সালে ১১২টি, ২০১০ সালে ৮৫টি, ২০০৯ সালে ৪৫টি, ২০০৮ সালে ৭২টি, ২০০৭ সালে ছয়টি, ২০০৬ সালে ৩২টি, ২০০৫ সালে ১৭টি এবং ২০০৪ সালে ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সবাই পাস করেছে।

বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. রুহুল আমিন ভূঁইয়া বলেন, ‘পাসের হার ও জিপিএ-৫ বাড়ায় সন্তোষ প্রকাশ করছি। ভবিষ্যতে শিক্ষার মান বাড়িয়ে আরও ভালো করার পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’