মনিরের রসায়ন

Untitled-4
Untitled-4

ক্ষতিকর রাসায়নিক ‘ফরমালিন’ ছাড়াই খাদ্য টাটকা রাখার প্রযুক্তি উদ্ভাবনের স্বপ্ন দেখেন তিনি। অনেক আগে থেকেই স্বপ্নটি মনের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। কলেজের গবেষণাগারে প্রয়োজনীয় উপকরণ ও যন্ত্রপাতি নেই। যার জন্য গবেষণার পদ্ধতি জানা থাকলেও গবেষণার কাজ এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়নি। পেশা হিসেবে শিক্ষকতাকে বেছে নিয়ে গবেষণাগারকে সমৃদ্ধ করে স্বপ্নটিকে এগিয়ে নেওয়ার প্রগাঢ় ইচ্ছা মেধাবী মনিরুজ্জামানের। মনিরুজ্জামান এ বছর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স (সম্মান) পরীক্ষায় রসায়ন বিভাগে সারা দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন। যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন (এমএম) কলেজ থেকে চার বছর মেয়াদি অনার্স পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মোট এক হাজার ৬৭৯ নম্বর পেয়ে সারা দেশের মধ্যে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান লাভ করার কৃতিত্ব দেখান তিনি। ভালো ফলাফলের রহস্য সম্পর্কে মনিরুজ্জামান বলেন, ‘বিগত ১৪ বছরের অনার্স পরীক্ষার প্রশ্নের সমাধান করে পরীক্ষার হলে বসেছিলাম। যখন যে বিষয়টি পড়েছি; ঠিকমতো সেটি বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। আর এ জন্যই হয়তো এ সাফল্য ছিনিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।’ যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া গ্রামের কৃষক আবদুস সাত্তার ও মেহেরুন্নেছার ছেলে মনিরুজ্জামান। বাবা পেশায় সফল কৃষক। ছোটবেলা থেকেই মনিরুজ্জামান বাবার সঙ্গে মাঠে গিয়ে ফসলের খোঁজখবর নিতেন। যার জন্য এ দেশের কৃষি ও কৃষকের খবরাখবর মোটামুটি তাঁর জানা। মনিরুজ্জামান বলেন, মাটিতে সোনার ফসল ফলাতে হলে গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই। রসায়নবিদদের গবেষণাগারে ফিরিয়ে নিতে পারলেই এ দেশের চেহারা বদলে যাবে। এ জন্য গবেষণাগার হবে তরুণ এ মেধাবীর দ্বিতীয় ঘরবাড়ি বলেও তিনি জানিয়ে দেন।

দরকার এখন সরকারের প্রত্যক্ষ নজরদারির মাধ্যমে গবেষণাগারে গবেষণার পরিবেশ সৃষ্টি করা।