বিগত দশকে বাংলাদেশের ধারাবাহিক উন্নয়নের ফলে ভৌত অবকাঠামোর উন্নতি হচ্ছে। সড়ক, মহাসড়ক, হাসপাতাল, স্টেশন ও সুপার মার্কেটের কারণে আমাদের নতুন জেলা ও পুরোনো বর্ধিষ্ণু উপজেলাগুলো ক্রমেই হয়ে উঠছে শহর ও শহরতলি। শহর ও শহরতলিতে বাড়ছে লোকের আবাস। বর্তমানে জনসংখ্যার ৩৬ শতাংশ শহর ও শহরতলিতে থাকেন। ২০৩০ সালে এটি ৪৫ শতাংশ এবং ২০৪১ সালে প্রায় ৬০ শতাংশে উন্নীত হবে। অর্থনীতির বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে দেশের বিভিন্ন স্থানে আবাসন, রাস্তা, ব্রিজ, মার্কেট ও কারখানা নির্মাণের কাজ এরই মধ্যে বহুগুণ বেড়েছে। পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন, একাধিক স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কারণে এই নির্মাণ আরও বাড়বে। পাশাপাশি গড়ে উঠবে নতুন নতুন শহর ও শহরতলি।
রাজধানীসহ প্রধান শহরগুলোয় স্থাপনা নির্মাণের ক্ষেত্রে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রমিত (Standard) মানের প্রয়োগ নিয়ে আমাদের মধ্যে সচেতনতার অভাব লক্ষণীয়। সাভারের রানা প্লাজার ধসে পড়া কিংবা বনানীর এফ আর টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এ বিষয়গুলো সামনে এলেও তা নিয়ে
আমাদের সচেতনতার মাত্রা অনেক বেড়েছে, এমনটি মনে হয়নি। পত্রিকায় নির্মাণকাজে লোহার পরিবর্তে বাঁশ ব্যবহারের খবরও প্রকাশিত হয়েছে।
ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত বিশ্বের কাতারে পৌঁছানোর জন্য আমাদের ভৌত কাঠামো বিনির্মাণে আরও বেশি সচেতন ও পেশাদারি মনোভাব গড়ে তুলতে হবে।
আর এ জন্য দরকার ভৌত কাঠামো নির্মাণে পেশাদারত্বের চর্চাকে সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া। কারণ, নতুন শহর ও শহরতলিতে প্রমিত প্রকৌশলচর্চার যে অনুপস্থিতি এখন লক্ষণীয়, তা বজায় থাকলে আগামীতে অনেক বড় সমস্যা তৈরি হতে পারে।
ঢাকা, চট্টগ্রাম কিংবা রাজশাহী শহরের শুরুর দিকের বিকাশের অভিজ্ঞতা থেকে এটি বোঝা যায় যে সরকারি ও সমন্বিত কোনো ব্যবস্থা গড়ে ওঠার আগেই ব্যক্তি ও বেসরকারি উদ্যোগে নানা ধরনের স্থাপনা গড়ে ওঠে।
শহরের বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে সেগুলো পুনরায় ভেঙে তৈরি করতে হয়। এ সংস্কৃতির পরিবর্তনের জন্য শহর ও শহরতলি এলাকায় ভৌত স্থাপনা নির্মাণকাজের ব্যাপারে জাতীয় বিল্ডিং কোডের ব্যবহারসহ দেশীয় নির্মাণসামগ্রীর ব্যবহার, টেকসই স্থাপনা ও সাশ্রয়ী প্রকল্পের ব্যাপারে সচেতনতা ও সক্ষমতা গড়ে তোলা দরকার।
ভৌত স্থাপনার প্রকৌশলচর্চা বিষয়ে সচেতনতা, প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং তাঁদের আন্তর্জাতিক মানে গড়ে উঠতে অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজন করা হয়েছে ‘জিপিএইচ ইস্পাত–প্রথম আলো ইন–জিনিয়াস ২০২৪ (স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং কম্পিটিশন)’।
উদ্দেশ্য, আগামী দিনের ভৌত কাঠামো যেন হয় উন্নত, নান্দনিক এবং একই সঙ্গে মজবুত ও দৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। আগামী প্রজন্মকে যেন তাঁদের ভৌত ভিত্তির দুর্বলতার জন্য বেড়ে উঠতে সন্দিহান না হতে হয়। জিপিএইচ ইস্পাত ও প্রথম আলো যৌথভাবে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে। এই আয়োজনের একাডেমিক পার্টনার ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক (ইউএপি) এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগ কার্যক্রমটি সমন্বয় করছে।
নিবন্ধনের শেষ তারিখ: ৩০ এপ্রিল ২০২৪
প্রতিটি দল নিজেদের নিবন্ধন করার পর প্রতিযোগিতার জন্য যেসব ডকুমেন্ট পাবে
প্রাথমিক ডিজাইন রিপোর্ট
প্রতিটি বিষয়ের উত্তর ইংরেজিতে Times New Roman ফন্টে সর্বোচ্চ ১৫০ শব্দের মধ্যে লিখতে হবে। প্রতিটি দল সর্বোচ্চ ১২ পেজের একটি রিপোর্ট অনলাইনে জমা দেবে। প্রতি পৃষ্ঠায় নিচের দিকে ডান পাশে গ্রুপের রেজিস্ট্রেশন নম্বর উল্লেখ থাকতে হবে।
রিপোর্টে যা যা থাকবে—
প্রাথমিক ডিজাইন রিপোর্ট জমা দেওয়ার নিয়মাবলি
প্রতিটি দলকে প্রাথমিক ডিজাইন রিপোর্টের পিডিএফ কপি এবং সব ড্রয়িংয়ের অটোক্যাড ফাইল google drive–এ আপলোড করে এই ঠিকানায় www.prothomalo.com/engenius গিয়ে নিজ দলের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও ড্রাইভ লিংক সাবমিট করতে হবে। ড্রাইভ লিংক দেওয়ার সময় যথাযথ পারমিশন দিতে হবে।
প্রাথমিক এন্ট্রিগুলো থেকে বিচারকদের রায়ের ভিত্তিতে দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য দল নির্বাচিত করা হবে।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষক এবং বেসরকারি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি বিচারক কমিটি প্রতিযোগিতার বাছাইকাজে নিয়োজিত থাকবে। এ ছাড়া রয়েছে একটি উপদেষ্টা পরিষদ।
নম্বর | বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম | জেলা |
১ | বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় | ঢাকা |
২ | ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক | ঢাকা |
৩ | আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় | ঢাকা |
৪ | নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি | ঢাকা |
৫ | মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি | ঢাকা |
৬ | বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি | ঢাকা |
৭ | স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ | ঢাকা |
৮ | ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি | ঢাকা |
৯ | ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি | ঢাকা |
১০ | ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি | ঢাকা |
১১ | ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ | ঢাকা |
১২ | ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেস | ঢাকা |
১৩ | ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি | ঢাকা |
১৪ | প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি | ঢাকা |
১৫ | সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি | ঢাকা |
১৬ | উত্তরা ইউনিভার্সিটি | ঢাকা |
১৭ | সিটি ইউনিভার্সিটি | ঢাকা |
১৮ | আনোয়ার খান মডার্ন ইউনিভার্সিটি | ঢাকা |
১৯ | ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি | ঢাকা |
২০ | ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি | ঢাকা |
২১ | ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ | ঢাকা |
২২ | ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি | গাজীপুর |
২৩ | ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় | গাজীপুর |
২৪ | ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ | ময়মনসিংহ |
২৫ | ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ | ফরিদপুর |
২৬ | বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় | গোপালগঞ্জ |
২৭ | চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় | চট্টগ্রাম |
২৮ | আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম | চট্টগ্রাম |
২৯ | সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি | চট্টগ্রাম |
৩০ | ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি | চট্টগ্রাম |
৩১ | পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি | চট্টগ্রাম |
৩২ | বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় | কুমিল্লা |
৩৩ | সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় | কুমিল্লা |
৩৪ | শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় | সিলেট |
৩৫ | লিডিং ইউনিভার্সিটি | সিলেট |
৩৬ | সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ | সিলেট |
৩৭ | খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় | খুলনা |
৩৮ | বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ | বরিশাল |
৩৯ | রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় | রাজশাহী |
৪০ | পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় | পাবনা |
৪১ | বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় | নাটোর |
৪২ | হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় | দিনাজপুর |
৪৩ | বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি | নীলফামারী |
একাডেমিক পার্টনার