শিল্পকলার ঘুঙুর বাজবে স্টেডিয়ামে

শিল্পকলায় মহড়া করছেন মুনমুন আহমেদ ও তাঁর দল
শিল্পকলায় মহড়া করছেন মুনমুন আহমেদ ও তাঁর দল

নৃত্যশিল্পী মুনমুন আহমেদকে ফোন করতেই ওপাশ থেকে ধরলেন তাঁর স্বামী নজরুলসংগীতশিল্পী সুজিত মোস্তফা। ফোন ধরেই বললেন, ‘শিল্পকলার মহড়াকক্ষে চলে আসুন। এখানেই আছে সবাই।’

মহড়াকক্ষের দরজা খুলতেই ঘুঙুরের আওয়াজ কানে এল। একদল ছেলে মেয়ে নেচে চলেছেন। সবার সামনে মুনমুন আহমেদ। তাঁকে অনুসরণ করছেন সবাই। তাঁদের দিকে মুখ করে বাজিয়ে যাচ্ছেন যন্ত্রশিল্পীরা। তাল-লয় কেটে যেতেই     শুধরে দিচ্ছেন মুনমুন আহমেদ।

গত শুক্রবার দুপুরে সবার ঘুঙুরের শব্দে মুখরিত হয়ে উঠছিল জাতীয় শিল্পকলা একাডেমি। ওপরে ফ্যানের বাতাসেও নভেম্বরের দুপুরে ঘাম চুইয়ে পড়ছিল সবার কপাল বেয়ে। সেদিকে খেয়াল নেই কারও।

বেশ কিছুক্ষণ মহড়ার পর কত্থক নাচের জনপ্রিয় এই নৃত্যশিল্পী থামলেন। নাশতা ও চা পানের বিরতি। মেয়েরা চা পানের চেয়ে বিশ্রামেই মনোযোগী হলেন বেশি। মহড়াকক্ষে বসেই কথা হলো মুনমুন আহমেদের সঙ্গে। জানালেন, রোববার (আজ) রাতে তাঁর পরিবেশনা। টানা ২৫ মিনিট মঞ্চ মাতাবেন তিনি। তিনি ছাড়াও দলে আছেন ২০ জন নৃত্যশিল্পী।  প্রথমবারের মতো বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসবের ব্যাপক আয়োজনে শামিল হবেন এই শিল্পী ও তাঁর দল। দল বলতে তাঁর নাচ শেখানোর স্কুল ‘রেওয়াজ পারফরমার্স স্কুল’-এর শিক্ষার্থীরা। স্কুলের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীর ভেতর থেকে যেখানে আছেন    ২০ জন।

আড়াই-তিন মাস ধরে তাঁদের মহড়া চলছে। শুরুতে স্কুলেই। কদিন পর থেকে ডেইলি স্টার ভবনে। শুক্রবার ও এর পরদিন করলেন শিল্পকলায়। শুধু এই অনুষ্ঠানে মুনমুন আহমেদের সঙ্গে অংশ নিতে পাশের দেশ কলকাতা থেকে এসেছেন দুজন যন্ত্রশিল্পী। তবলা ও সরোদ বাজাবেন এই দুজন। বাকি চারজন বাজাবেন এসরাজ, বাঁশি, ভোকাল ও করণ।

মুনমুন আহমেদ বললেন, ‘বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসবটি উপমহাদেশের সেরা একটি আয়োজন। তাই আমাদের চেষ্টা থাকবে সেরাটুকু দেওয়ার।’ কথা বলার ফাঁকে মেয়েদের নাচের পোশাক পরে নিতে বললেন। কারণ, খানিক পরেই পুরোদস্তুর নাচের পোশাকে মহড়া করবেন শিল্পীরা। নিজেদের সেরাটুকু দিকে বিন্দুমাত্র বিশ্রাম নেই যেন তাঁদের।