মানবহত্যার বিরুদ্ধে 'বটতলা রঙ্গমেলা'

গতকাল সন্ধ্যায় নিউ বেইলি রোডের মহিলা সমিতিতে ছিল নানা রঙের আলোকসজ্জা। সামনের ফটকে বসানো হয়েছে মেটালিক দরজা। দরজার দুদিকে দাঁড়িয়ে আছে দুটি পুতুল মানুষ। একজন দর্শক উঁকি দিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘এখানে মেলা হচ্ছে নাকি?’ একজন বললেন, ‘না, নাটকের উৎসব।’
‘ধরিত্রী ও মানব হত্যার বিরুদ্ধে, মুক্তির উৎসবে’ স্লোগানে নাটকের দল বটতলার ১০ দিনব্যাপী ‘বটতলা রঙ্গমেলা ২০১৬’-এর উদ্বোধন হলো গতকাল। উদ্বোধক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘অল্প সময়ের মধ্যেই এই নাট্যগোষ্ঠী বাংলাদেশের দর্শকদের দৃষ্টি কেড়েছে। ইতিমধ্যে নিজেদের মতো করে তারা শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে। প্রতিটি প্রযোজনায় তারা বিষয় ও উপস্থাপনায় বৈচিত্র্য এনেছে। তবে তাদের সব প্রযোজনায় একটি বিষয় ছিল অভিন্ন—তারা মানবতার কথা বলেছে।’
নাটকের মান নিয়ে মন্ত্রী বলেন, মঞ্চে এখন কিছু কিছু নাটক হয়, যা দেখে দর্শক বিমুখ হন। কাউকে আঘাত করার জন্য এ কথা বলা হয়নি। যাতে ভালো নাটক তৈরি করা যায়, সেই সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।
এরপর দেখানো হয় উৎসব প্রোমো। মহিলা সমিতির বহিরাঙ্গনে ‘নাসিরুদ্দিন নাদিম বহিরাঙ্গন মঞ্চে’ চলে বিশেষ অতিথিদের বক্তৃতা। মাঝে মাঝে ছিল ‘কাদামাটি’ দলের কোরিওগ্রাফি। বক্তৃতা শেষে বটতলার নতুন প্রযোজনা ‘ক্রাচের কর্নেল’ নাটকটি দেখানো হয়। শাহাদুজ্জামানের উপন্যাস থেকে নাটকটির নাট্যরূপ দিয়েছেন সামিনা লুৎফা ও সৌম্য সরকার। নির্দেশনা দিয়েছেন আলী হায়দার।
১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত উৎসব চলবে। প্রতিদিন বহিরাঙ্গনে থাকবে গান ও পরিবেশনা। সন্ধ্যা সাতটায় মঞ্চে দেখানো হবে নাটক। উৎসবে বাংলাদেশের নাটক ছাড়াও ভারত ও ইরানের নাটক থাকছে। আয়োজনটিতে সহযোগিতা করেছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, ঢাকা ব্যাংক ও প্রাইম ব্যাংক।
আজকের নাটক
আজ সন্ধ্যা সাতটায় মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হবে ভারতের কোচবিহারের কম্পাস নাট্যদলের নাটক ‘চোপ্‌ আদালত চলছে’। নাটকটি লিখেছেন বিজয় তেন্ডুলকর, নির্দেশনা দিয়েছেন দেবব্রত আচার্য্য। আগামীকাল থাকছে যশোরের বিবর্তন দলেন নাটক ‘মাত্‌ব্রিং’ (গভীর অরণ্য)।