ক্যাপ্টেন, সেলফি হয়ে যাক
অনুষ্ঠানের মাঝখানে মিলনায়তন থেকে বের হয়ে যাচ্ছিলেন হাবিব। পেছন থেকে তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ডাক দিলেন তরুণদের একটি দল—‘ক্যাপ্টেন, চলে যাচ্ছেন?’ দলে আছেন অদিত, প্রীতম, বাম্মি, জেফার, শেহতাজ।
মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারের অনুষ্ঠান শেষ হতে তখনো আরও অনেকটা বাকি। তাঁদের উদ্দেশে হাবিব বললেন, ‘কাজ আছে রে, বের হচ্ছি।’ তরুণেরাও নাছোড়বান্দা। ‘না ক্যাপ্টেন, আমাদের ফেলে আপনি যেতে পারবেন না।’
হাবিবের সত্যিই তাড়া ছিল তখন। নইলে এই প্রাণোচ্ছল অনুষ্ঠান ও তরুণ বন্ধুদের রেখে যাবেনই বা কেন। সেটা বুঝে নিয়েই প্রীতম বললেন, ‘ঠিক আছে ক্যাপ্টেন, তাহলে একটা সেলফি হয়ে যাক?’ সেলফি তুলে পরে হল অব ফেম থেকে বেরিয়ে গেলেন হাবিব।
এই না হলে সুজন? এক আসনে তিনজন!
হল অব ফেমে তখন তিল ধারণের জায়গা নেই। দুই অভিনেত্রী ও ভারতীয় একজন পরিচালককে নিয়ে প্রবেশ করলেন প্রযোজক আবদুল আজিজ। তন্নতন্ন করে খুঁজে পাওয়া গেল দুটি আসন। কিন্তু সেখানে পৌঁছানো ছিল বেশ কঠিন। আবদুল আজিজ সেখানে পাঠিয়ে দিলেন দুই অভিনেত্রীকে। রইল বাকি দুই। তাঁদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে একটু করে সরে বসলেন আশপাশের কয়েকজন, তাতে আরও একটুখানি জায়গা তৈরি হলো। সেখানে বেশ ভালোভাবেই জায়গা হয়ে গেল স্লিম ফিগারের আবদুল আজিজের। তাঁর সঙ্গের ভারতীয় পরিচালকের স্বাস্থ্য বেশ ভালো বলে তাঁর জন্য খুঁজতে হলো আরও একটি আসন।
দুই নায়ক এক মেকআপ শিল্পীমেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার অনুষ্ঠান শুরু হতে তখন অল্প কিছু সময় বাকি। কিন্তু উপস্থাপক নায়ক ফেরদৌস প্রস্তুতি নিতে পারছেন না। তাঁর মেকআপ শিল্পীকে নিয়ে গেছেন নায়ক অনন্ত জলিল। মঞ্চে উঠে একজন বিজয়ীর হাতে পুরস্কার তুলে দিতে হবে অনন্তকে। মেকআপ ছাড়া তো তিনি মঞ্চে উঠবেন না। এদিকে অনুষ্ঠানটির উপস্থাপক ফেরদৌস অপেক্ষা করছিলেন। অনন্ত জলিলের মেকআপ শেষ হলে যখন ফিরবেন মেকআপ শিল্পী, তখনই মেকআপে বসবেন ফেরদৌস।