'ব্যাড ব্লাড' বনাম 'সুইশ সুইশ'

ভক্তদের মধ্যে হরহামেশাই তর্ক-বিতর্ক লেগে থাকে টেলর সুইফট আর কেটি পেরিকে নিয়ে। দুজনের ভক্তদের যেন দা-কুমড়া সম্পর্ক। সেটা খুব ভালো বোঝা যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ঘাঁটলে। হয়তো বা তাঁদের নিজেদের মধ্যেও এক ধরনের ঠান্ডা যুদ্ধ চলে। নইলে কেনইবা একে অপরের বিরুদ্ধে গান রচনা করেন! সেটাও অবশ্য ভক্তদের বদ্ধ ধারণা।

কেটি আর সুইফট নিজেরা স্বীকার না করলে কী হবে, ভক্তরা ঠিকই বোঝেন। এই তো ইদানীং কেটি পেরিকে এক প্রশ্নের জবাব দিতে হচ্ছে, ‘সুইশ সুইশ’ শিরোনামে কেটির নতুন গানটা কি টেলর সুইফটকে উদ্দেশ করে গাওয়া কি না? উত্তরটা পেরি ঘুরিয়েই বলেন।

গতকাল কেটি পেরি উপস্থিত হয়েছিলেন ‘টুনাইট শো’ অনুষ্ঠানে। সেখানে সঞ্চালক জিমি ফ্যালন প্রশ্নটা করেই বসলেন, ‘এটা (সুইশ সুইশ) কী আমরা জানি এমন কারও সম্পর্কে...?’ আরও জিজ্ঞেস করেন কারও কাছ থেকে এই গানের স্পৃহা পেয়েছেন কি না। কেটি বলেন, ‘আমি মনে করি, এটা মানুষ সেরা একটা জাতীয় সংগীত হিসেবে ব্যবহার করতে পারে যখন কেউ কাউকে নিচে নামানোর কিংবা নির্যাতন করার চেষ্টা করে।’
এর আগে ২০১৪ সালে টেলর সুইফটের মুক্তি পাওয়া গান ‘ব্যাড ব্লাড’ কেটি পেরিকে উদ্দেশ করে লেখা হয়েছিল বলে গুঞ্জন চাউর হয়। তখন সুইফটকেও এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছিল। সুইফট অবশ্য রোলিং স্টোনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্বীকার করেছিলেন যে, ‘ব্যাড ব্লাড’ গানটা কোনো এক নারী সতীর্থকে উদ্দেশ করেই গাওয়া, শুধু নামটা বলেননি। ভক্তদের কি আর বুঝতে বাকি থাকে?
২০১৩ সাল অবধি খুব ভালো বন্ধুত্ব ছিল মার্কিন এই দুই পপ তারকার। একে অপরের সুখ-দুঃখে পাশে থাকতেন সব সময়। এমনকি একসঙ্গে মঞ্চও মাতিয়েছেন দুই বান্ধবীতে। কিন্তু কী যে কী হলো হঠাৎ করে, আর টিকল না বন্ধুত্বটা। সুইফটের অভিযোগ, তাঁর কনসার্টের লোকজন কেটি ভাড়া করে নিচ্ছিল। এতে অপমানবোধ করেন সুইফট। পিপল।