তাঁদের গল্পের গাঁথুনি কিন্তু ভালো

বাংলাভিশনে আজ শুরু হচ্ছে ধারাবাহিক নাটক ল্যাম্পপোস্ট। সাগর জাহানের রচনা ও পরিচালনায় নাটকটিতে অভিনয় করেছেন বাঁধন। এটি ছাড়াও বিভিন্ন স্যাটেলাইট চ্যানেলে সম্প্রচারিত বেশ কিছু ধারাবাহিকে রয়েছেন তিনি। বর্তমান সময়ের এসব ধারাবাহিক প্রসঙ্গে নানা কথা বললেন এই অভিনেত্রী।
বাঁধন l ছবি: প্রথম আলো
বাঁধন l ছবি: প্রথম আলো

‘ল্যাম্পপোস্ট’ নাটকে আপনার চরিত্রটা কেমন?

ধারাবাহিকটিতে আমার বাবা মামুনুর রশীদ ও মা সাবেরি আলম। আমার বিয়ে হয়েছিল, কিন্তু স্বামীর বাড়ি থেকে চলে এসেছি। এখন মা–বাবার সঙ্গেই থাকি। আপাতত এটুকুই। আমাদের বাড়িতে থাকেন কচি ভাই ও মারজুক রাসেল। তাঁদের সঙ্গেই নানা ধরনের ঘটনা ঘটে।

নাটকটির নাম ‘ল্যাম্পপোস্ট’ কেন?
এটা আসলে পরিচালক ভালো বলতে পারবেন। আমার মনে হয়, ল্যাম্পপোস্ট যেমন আলোকিত করে। সেই আলোয় একেকজন এসে তাঁদের নিজেদের মেলে ধরবেন। এমনটাই শুনেছি।

এখন দেখা যায়, বেশির ভাগ ধারাবাহিকের গল্প ঝুলে যায়। এ ব্যাপারে পরিচালকের জন্য আপনার কোনো পরামর্শ আছে?
অনেক পরিচালকের জন্য থাকলেও সাগর জাহানের জন্য নেই। কারণ তিনি একজন সফল নির্মাতা। তিনি গল্প জমিয়ে রাখতে পারেন। তাঁর আগের কাজগুলো করে এই অভিজ্ঞতা হয়েছে। মজার ব্যাপার হলো, নাটক জমজমাট থাকা অবস্থাতেই তিনি শেষ করে ফেলেন। এই সাহসটা সবাই দেখান না।

তাহলে অন্যদের জন্য পরামর্শ কী?
পরামর্শ না, আমি অবস্থাটা বলতে চাই। অনেক ধারাবাহিকে অভিনয় করার অভিজ্ঞতা থেকে বলব, আমাদের দেশের ধারাবাহিকের গল্পের গাঁথুনিটা শক্ত না। অনেক সময় কতিপয় নির্মাতা বলেন, গল্পের চেয়ে নির্মাণটা জরুরি। কিন্তু আসলেই কি তাই? আমি হুমায়ূন আহমেদ স্যারের নাটকে অভিনয় করেছি। শুটিংয়ের সময় স্যার প্রায়ই বলতেন, ‘আরে কী এত লাইট করছ, ফ্রেম ধরছ। মানুষ আমার সংলাপ শুনবে।’ স্যারের নাটকগুলো দেখেন। একবারও কি মনে হয় যে অনেক ক্যারিশমা করে শট নিয়েছেন তিনি? তবু ওই নাটকগুলো আমাদের কাঁদায়, আমাদের ভাবায়। আমরা দর্শকদের দোষ দিই যে তাঁরা ভারতীয় নাটক দেখছেন। সত্যি কথা, তাদের গল্পের গাঁথুনি কিন্তু ভালো, যা আমরা করতে পারছি না।

ঈদের নাটকগুলো দেখেছেন?
হ্যাঁ, ঈদের বেশ কটি নাটক দেখেছি। এর মধ্যে মি. জনি, বিকেল বেলার পাখি এবং মায়াবতী নাটকগুলো আলাদা করে মনে আছে গল্পের গাঁথুনির কারণেই। অন্যগুলো হয়তো দেখেছি, কিন্তু ওভাবে মনে নেই।
সাক্ষাৎকার: হাবিবুল্লাহ সিদ্দিক