পুরস্কারের কথা ভেবে অভিনয় করি না

>ঈদে প্রচারিত বিকেল বেলার পাখি নাটকটি ইউটিউবে বেশ সমাদৃত। এই নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু। নাটকটিসহ বেশ কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
ফজলুর রহমান বাবু
ফজলুর রহমান বাবু

আপনার অভিনীত ‘বিকেল বেলার পাখি’ নাটকটি নিয়ে এখনো আলোচনা হচ্ছে। কেমন লাগছে?

ভালো কাজ হলে তো সবাই পছন্দ করবেন, দেখবেন। তবে এবারের ঈদের নাটকের পজিটিভ দিক হলো, যে দর্শকেরা টিভি নাটক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন, তাঁরা ফিরে এসেছেন। মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার কারণও ছিল, একঘেয়ে গল্প ও দর্শকদের জোর করে হাসানোর চেষ্টা, বিভিন্ন অঞ্চলের ভাষা দিয়ে খুবই স্থূলভাবে নির্মাণ। এবার সেসব থেকে দর্শক কিছুটা মুক্তি পেয়েছেন। তবে ‘আয়নাবাজি অরিজিনাল সিরিজ’ ও ‘ছবিয়াল রি–ইউনিয়ন’—এই দুটি প্রজেক্টের বাইরেও কিছু পরিচালক খুব ভালো কাজ করেছেন।

‘বিকেল বেলার পাখি’র শুটিংয়ের সময় কি ভেবেছিলেন এটা দর্শক পছন্দ করবেন?

পছন্দ করবেন—এই বিশ্বাসটুকু ছিল। কিন্তু এটা দর্শকেরা পছন্দের এক নম্বর তালিকায় নিয়ে আসবেন, সেটা ভাবিনি। আর অত কিছু ভেবে অভিনয় করা যায়ও না। আমি পুরস্কারের কথা ভেবে অভিনয় করি না। আমার ভাবনায় থাকে, আমি একটি চরিত্রে অভিনয় করছি এবং সেটা যথাযথভাবে ফুটিয়ে তুলতে হবে। মানে চরিত্রটা কতটা বিশ্বাসযোগ্যভাবে ফুটিয়ে তোলা যায়। তারপর দর্শকেরা নিজ দায়িত্বে সেই কাজের ফলাফল দিয়ে দেন। আপনি যদি আপনার কাজের জায়গায় সিরিয়াস হন, সেই ফলাফল তো পাবেন। তবে ঈদের পরে একটা জিনিস দেখে খানিকটা খটকা লেগেছে।

কী সেটা?

কোথায় যেন একটা জরিপ দেখলাম, এবারের ঈদে সেরা নাটকগুলোর তালিকায় আছে ‘আয়নাবাজি অরিজিনাল’ সিরিজ, ‘ছবিয়াল রি–ইউনিয়ন’সহ বেশ কিছু নাটক। কিন্তু সেরা অভিনেতা হিসেবে এমন একজনের নাম দেওয়া হয়েছে, যিনি এসব নাটকে অভিনয়ই করেননি। তাহলে তিনি কীভাবে সেরা হলেন? এটা আমার মাথায় আসে না।

আপনি কার কথা বলছেন?

কার কথা বলছি, সেটা বুঝে নেন।

এখন কী কাজ করছেন?

যে কাজ নিয়মিত করি সেটাই। অভিনয়। আসছে ঈদুল আজহারও কাজ শুরু হয়েছে। সেসব নাটকে কাজ করছি।

সাক্ষাৎকার: হাবিবুল্লাহ সিদ্দিক